শীতের মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে সারাদেশসহ কেন্দুয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পায়।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
দিনমজুর সাদেক, সুজন ও বাদল মিয়া বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে দৈনিক ভিত্তিতে রোজগার করলেও সকাল থেকে বৃষ্টিপাত থাকায় কোথাও বের হওয়া সম্ভব হয়নি। একদিন রোজগার না করলে খাবার-দাবার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
অটোরিকশা চালক কাজল মিয়া বলেন, আজ গাড়ি নিয়ে বের হলেও বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। রাস্তাঘাট ও হাটবাজারসমূহ ফাঁকা দেখা যায়।
উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের কৃষক খোকন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, শীতের সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে মৌসুমি শাকসবজি চাষিদের কিছুটা উপকার হবে। তবে আরো কিছু বৃষ্টিপাত হলে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা ধরনের শাকসবজি বিনষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
অসময়ের বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনীর জনজীবন। প্রচণ্ড শীতে গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছে লোকজন। এর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে জনভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
হঠাৎ বৃষ্টি আর শীতে ফসলের খেতে রোগবালাইয়ের পাশাপাশি সরিষা, লাউ ও মরিচের ফুল পচে যাওয়ার আশঙ্কা চাষিদের।