প্রার্থিতা হারালেন ময়মনসিংহ-৯ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে।
আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ছিলেন।
আব্দুস সালাম ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে বৈধ ঘোষিত হন। তবে তার বিরুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন আপিল করেন। আপিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ আনা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের করা আপিল শুনানির কার্যক্রম চলছে। যা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রঞ্জিত কুমার বর্মণ একটি আইনী নোটিশ দেন সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল আব্দুস সালামসহ (অব.) ৬ জনকে। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সিদ্দিক হোসেনে পক্ষের নোটিশটি দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছিল, ঋণখেলাপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের (অব.) সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তাই সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় নেওয়া রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধা (শুল্কমুক্ত গাড়িসহ) ১৫ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়।
নোটিশটি নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যম ‘সাবেক এমপির নেওয়া আর্থিক সুবিধা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশ দেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল আলম রাসেল।