এখন বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগটি মানবদেহে দ্রুত বাড়ছে। লাখো মানুষ শর্করার মাত্রার বাড়ার কারণে এ রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
তবে আট উপায়ে ডায়াবেটিস রাখতে পারেন নিয়ন্ত্রণে। জেনে নিন—
নয়নতারা ফুল
নয়নতারা খুব পরিচিত একটি ফুল। এ ফুলগাছের সব অংশই তেতো। প্রতিদিন সকালে দু’টি পাতা খালি পেটে চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে।
তেতো করলা
তেতো করলা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
মেথি
মেথি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বীজ। মেথি দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি হজমে খুব সহায়ক। মেথি গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিরাতে রাতে দুই টেবিল চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি আলাদা করে খালি পেটে এই পানি পান করুন। এতে ডায়াবেটিসহ বিভিন্ন রোগের উপকার পাবেন।
নিম-তুলসি
তুলসি অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং নিম পাতার রয়েছে ওষুধি বৈশিষ্ট্য। নিমপাতা ও তুলসি পাতা ডায়াবেটিস নিরাময়ে ভালো কাজে দেবে। পাঁচটি পুদিনা পাতা ও নিমপাতা পানিতে ধুয়ে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে ভালো উপকার পাবেন।
কালো জাম
কালো জাম গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবচেয়ে ভালো ফল হিসেবে অন্যতম।
ঢেঁড়স
ঢেঁড়স ফাইবারসমৃদ্ধ সবজি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস নিরাময় করতে রাতে এক গ্লাস পানির মধ্যে একটি ঢেঁড়স কেটে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে গ্লাস থেকে ঢেঁড়স তুলে খালি পেটে এই পানি পান করুন।
মিষ্টি কুমড়া
মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। ডায়াবেটিক রোগীরা এ সবজি খেলে তাদের ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। ফলে চোখের সমস্যা দূর করে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
হাঁটা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তে শর্করা প্রতিরোধ করতে সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা। প্রথমে ধীরে ধীরে পরে জোরে হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে ক্যালোরি ও অতিরিক্ত চর্বি বার্ন করতেও সাহায্য করবে।