কারণ ৯ টাকা কাবিন ও ৯০০ টাকার শাড়িতে চমকের এই ভালোবাসার বিয়ে কী ভাঙতে বসেছে। চমকের স্বামী কী এসব ঘটনা লুকিয়েছে? নানা প্রশ্ন সামনে আসতে থাকে।
ঘটনার সত্যতাও পাওয়া গেলো নাসিরের ভিডিও বার্তা থেকেই। চমকের স্বামী বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর চমকের সামনে মুখ দেখাতে পারছি না।
আজমান নাসির বলেছেন, শরিয়ত মেনেই দুটি বিয়ে করেছিলেন তিনি। এবং ডিভোর্সও দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ৯ টাকা দেনমোহরে বিয়ে ৯ দিন টিকবে না মন্তব্য ঘিরে কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। বিয়ে ভেঙে গেলে নেটিজেনরা খুশি হবেন কি না জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চমক আমার অতীত সম্পর্কে জানতেও চায়নি। আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমরা সারাটি জীবন সুখে শান্তিতে কাটাতে চেয়েছি।
চমকের মতো মেয়েকে ভাগ্য গুণে পেয়েছেন বলেও জানান নাসির। ভিডিও বার্তা তিনি আগের স্ত্রীরা প্রতারণা করেছেন বলেছেন। তবে কী প্রতারণা করেছেন সেটি বলেননি।
এ ছাড়া আগের দুই স্ত্রী ও কন্যাদের ভরণপোষণ দেন না নাসির এমন অভিযোগও রয়েছে।
২০২৪ সালের ২১ জুন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী চমক। স্বামী আজমান নাসিরকে নিয়ে সরাসরি খোলামেলা কিছু বলেননি তিনি।
নাসিরের প্রথম বিয়ে ২০০৮ সালের ১০ জুন। বিয়ের মাস খানেক পর স্টুডেন্ট ভিসায় স্ত্রী সামান্তা ইসলামকে নিয়ে লন্ডনে পড়াশোনা করতে যান তিনি। সূত্রটি বলছে, অর্থের জোগান না থাকায় শেষ পর্যন্ত পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়েই দেশে ফেরেন তারা। এরপর ২০১১ সালের নভেম্বরে তাদের ঘরে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্যকলহে ২০১৬ সালের জুন সামান্তার সঙ্গে ডিভোর্স হয় নাসিরের।
প্রথম সংসারে থাকাকালীন সময়েই নাসিরের জীবনে আসে এক মডেল। ওই মডেল এখন চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। সেই মডেল কাম নায়িকার ‘ডেডবডি’ নামে একটি সিনেমা মুক্তিও পেয়েছে। তবে সাড়া ফেলতে পারেনি। সেই প্রেম অবশ্য বেশিদিন টেকেনি। নাসিরের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না জানার পরেই কেটে পড়েন মডেল।
এর মধ্যে লামিয়া ফারহিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাসির। লামিয়া সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। অর্থবিত্ত কোনো কিছুতেই কমতি ছিল না। নাসিরের প্রেমের ফাঁদে পড়েন তিনি। প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই বিয়ে সম্পন্ন করেন তারা।
এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই ঘরও আলো করে আসে কন্যাসন্তান। তারপর ২০২৩ সালের অক্টোবর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাদের। তার একবছর না পেরুতেই নাসিরের তৃতীয় স্ত্রী হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী চমক।