খবর প্রকাশ হয়েছে যে- সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে আসতেন চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। তবে এ কথা অস্বীকার করে এই উঠতি অভিনয়শিল্পী ভিউ বাণিজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ফেসবুকে মিতু দাবি করেছেন তাকে নিয়ে যে ভিডিও সংবাদ সংবাদ হয়েছে, তা মূলত ভিউ বাণিজ্যের জন্য।
জাহারা মিতু বলেন, ডিজিটাল যুগে সবকিছুর রেকর্ড থাকে। আমার বাসা থেকে বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ যেমন থাকবে, আমি কোথাও গেলে সেটারও রেকর্ড থাকবে। কললিস্টেরও রেকর্ড থাকে। এসব বুঝেশুনে নিউজ করতে হয়।
মিতু আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ একজন মন্ত্রীকে প্রতিদিন ঘুম পাড়ানোর নিউজ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ সবজি সেবনের ফলেই লেখা যায়। এর থেকে হাস্যকর নিউজ আমি বাপের জন্মে দেখিনি। সত্যিই দেখিনি।
ফেসবুকে এই নায়িকা লিখেন, এতো হেসেছি আমি নিজে, মানুষ আর কতোটুকু হাসবে। কোনো সোর্স নেই, আমার বক্তব্য নেই, কোনো প্রমাণ নেই আর আমার নাম ডিরেক্ট লিখে দিলেন।
ভিউ বাণিজ্যের তীব্র সমালোচনা তিনি করে বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে ভিউ বলে, ভিউ বাণিজ্যে এতোটা নিচে নামলেন। একটাবার ভাবলেন না, মেয়েটা আসলেই কোনোদিন ওই ভাইয়ের সাথে একা দেখা করেছে কিনা?? খবর নিয়ে দেখেন ভাইয়েরা। এটুক একটু বের করেন প্লিজ। নিজেদের সাংবাদিক দাবি করেন? সত্যিই দাবি করেন? আজ থেকে আর কইরেন না। আমি চুপচাপ আমার মতো থাকি, থাকতে দেন। কবি তো নিরবই ছিল, মুখটা খুলাইলেন ক্যান।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাহারা মিতুর সখ্যতা ছিল এটা সকলেই জানেন। বইমেলায় ব্যস্ততা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদের নায়িকার কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে যান। ওই ভিডিও সংবাদে এমনটাই বলা হয়েছে- একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে কিছু চিত্র।
অভিযোগ অস্বীকার করে জাহারা মিতু বলেন, ভাইরে আমার কোনো পুরুষকে ভালো লাগে না, আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। অনেক ইন্টার্ভিউতে বলেছি আমার থেকে একদিনের বড় কোনো ছেলেকেও আমার ভালো লাগে না।
মিতু বলেন, গত সাড়ে তিন বছর আগে এমন এক ধোঁকাবাজের সাথে সম্পর্ক ভেঙেছি যে, এরপর সম্পর্ক জিনিসটাই আমার প্যারা মনে হয়।
জাহারা মিতু বলেন, আপনাদের অত্যাচারে মনে হচ্ছে একটা প্রেম করে প্রেমিক সামনে আনতেই হবে, তাহলে যদি আপনাদের একটু মনের আনচান ভাব কমে আর কি। তখন আর এমন আবোলতাবোল প্রেমকাহিনি বানানো লাগবে না।