ছোট পর্দার পরিচিত মুখ । তাকে দর্শকরা চেনেন প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, যখন অভিনেত্রী প্রথম বিনোদন জগতে পা রাখেন তখন আশাকেও পড়তে হয়েছিল নানা সমস্যার মুখে। নানা কুপ্রস্তাব এসেছিল তার কাছে।
আশা জানিয়েছেন যে, একজন কো-অর্ডিনেটর তাঁকে কাজ পাওয়ার জন্য আপস করতে হয় এই কথাটা বুঝিয়ে মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করেছিলেন।
হাউটারফ্লিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কাস্টিং কাউচে কী হয় সেই নিয়ে কথা বলেছেন। তার কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আশা বলেন, ‘তখন কো-অর্ডিনেটর ছিল। কিন্তু সেই সময়ের কো-অর্ডিনেটর ছাড়াও কিছু লোকজন থাকত, যাদের ওখানে সেই ভাবে কোনও কাজ থাকত না।
তাই আমি যখন সেটা বুঝতে পারলাম, ওদের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দিলাম। আমি খারাপ কিছু হওয়ার আগেই যে বুঝে গিয়েছিলাম, এটা ভাবলে আমার স্বস্তি লাগে। কিন্তু একদম শুরু থেকেই তো সব বুঝে যাইনি। কাস্টিং কাউচের এর এক ব্যাক্তি তখন টেলিভিশন, বিনোদন জগত ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে বহু কথা বলতেন।
তখন আমার বয়সও অল্প, ওই ২০ এর আশেপাশে। সেভাবে কিছুই জানি না এই জগতটা সম্পর্কে, তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমি সব শুনতাম। সেই সময় তিনি প্রায় আমার মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করছিলেন। আমাকে বলেছিল যে এটাই হয়, এভাবেই তুমি বড় হবে। ওই ব্যক্তি আমাকে বলেছিলেন, টিভির অভিনেত্রীরা সবাই আপস করেছেন।
আশা জানান যে, ওই ব্যক্তি সরাসরি আশাকে কোনও প্রস্তাব দেয়নি বা আপস করার বিষয়ে কিছু বলেনি ঠিকই। কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে ওর উদ্দেশ্য বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা থেকে অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, যদি আপস করেই কাজ পেতে হয় তবে তিনি এভাবে কাজ করতে বা বিনোদন জগতে তার ক্যারিয়ার গড়তে বিশেষ আগ্রহী নন।
সেই সময় এই কথা শুনে আশা অনেকটা ভয়ও পেয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ‘পবিত্র রিশতা’-এ কাজ করতেন। সেই মেগার এক অভিনেতাকে আশা ফোন করে এই ঘটনার কথা জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনায় সেই অভিনেতা আশ্চর্য তো হননি, বরং এটাকে একটি সাধারণ ঘটনা হিসাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে আশা বলেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম, যদি এইসব করতে হয় তবে আমি মোটেও আগ্রহী নই। আমার বন্ধু শুধু বলেছিলেন, এই সব হয়, এটা স্বাভাবিক। তিনি অবাকও হননি আমার কথা শুনে।’