কেশবপুরে গণজোয়ার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিজেরাই নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্র না আসতে পারে সেজন্যে নৌকা প্রতীকের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। গত রোববার কেশবপুর প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এইসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠাকালে আজিজুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ যশোর- ৬ (কেশবপুর) আসনে আমি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এলাকার সন্তান হওয়ায় কেশবপুরে ঈগল প্রতীকের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপারদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার বহিরাগত হওয়ায় কেশবপুরবাসি তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেকারণে আমি তার পথের কাটা হয়েছি। আসন্ন নির্বাচনে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে রাখতে বর্তমান তিনি অপরাজনীতিসহ বিভিন্ন অপকৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছেন। শান্ত কেশবপুরকে অশান্ত করতে যেকোন সময় তিনি অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারেন বলে আমি আশঙ্কা প্রকাশ করছি। নির্বাচনের শুরু থেকেই নৌকা প্রার্থীর লোকজন আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। ঈগল প্রতীকের গণজোয়ার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিজেরাই নৌকার অফিস পুড়িয়ে সেই দায় আমার লোকদের ঘাড়ে চাপানোর বৃথা নাটক করে হয়রানি করা হচ্ছে। পৌর এলাকার বায়সা মোড়ের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটি তার অপরাজনীতির বহি:প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, শাহীন চাকলাদারের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাধারণ ভোটারদের ভোটের মাঠে না আসতে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। শাহীন চাকলাদারকে ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। যার অডিও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কারনে একজন সাংবাদিককে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে,আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর পৌরসভার কাউন্সিলর কবীর হোসেন, যুবলীগ নেতা টিপু সুলতান, আওয়ামীলীগ নেতা সামছুর গাজী, আব্দুল লতিফ,আব্দুস সালাম,মুি মুজিবর রহমান,কামরুল ইসলামখন্দকার সোহরাব ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।