টেলিভিশনের পর্দায় ১১ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখছিলাম। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অনেকে গত মন্ত্রিসভায় ছিলেন সেই সুবাদে তাদের সম্পর্কে কিছুটা জানি, কাউকে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। এ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নির্বাচন আমাকে তেমন অস্বস্তি দেয়নি। বিভিন্ন সংকটে শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে শ্রদ্ধেয় সামন্ত লাল সেনের বক্তব্য আমাকে মুগ্ধ করত। বড় চেয়ারে বসা মানুষদের বাক্যচয়ন যদি প্রজ্ঞামিশ্রিত শ্রুতিমধুর না হয়, তখন খুব অস্বস্তিতে ভুগি। আর মাননীয় মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক কথা শুনিনি। সব কিছু মিলিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নব্বইভাগের নির্বাচন আমার ভালো লেগেছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন জাতি তাকিয়ে আছে ফলের পরিচয়ে বৃক্ষের নাম জানতে। মন্ত্রিপরিষদ দায়িত্ব পালনের নিয়মমাফিক আনুষ্ঠানিক শপথ নিয়েছে। এবার অধরা রয়ে যাওয়া দুটো শপথ দৃঢ়ভাবে নেওয়ার অনুরোধ করব। প্রথমত সুশিক্ষার পরিবেশ ও পথ তৈরি করা, দ্বিতীয়ত দেশকে সুশাসনের পথে এগিয়ে নেওয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে নয়-হৃদয়ে ধারণ করে মাননীয় মন্ত্রীরা মনে মনে এ শপথটি নেবেন এমন প্রত্যাশা থাকবে আমাদের।
এ সরকারের ওপর খুব বেশি রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক চাপ আছে বা থাকবে বলে আমি মনে করি না। যেটুকু তৈরি হচ্ছে তা অতিক্রম করার যোগ্যতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আশু দুটো অভ্যন্তরীণ চাপ থেকে আগে বেরোতে হবে। একটি অর্থনৈতিক ভিত শক্ত করা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো। দ্বিতীয়টি ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে বিবেচনা করা। এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির রাহুগ্রাস তো আমাদের ঘুণপোকার মতো কেটে কেটে ফোকলা করে দিচ্ছে। শত শত কোটি ডলার বিদেশে পাচার তো আর সাধারণ মানুষ করে না। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্নীতির রাহুগ্রাস কমিয়ে ফেলা অনেকটা সহজ হবে। সর্বস্তরে দুর্নীতি থাকলেও মূল লক্ষ্য থাকতে হবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি কমিয়ে ফেলার দিকে। এ দুই জায়গা শুচি-শুভ্র হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যসব ক্ষেত্রের দুর্নীতি কমে আসবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় বাধা হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে কঠিন দলীয়করণ। আমাদের রাজনৈতিক সরকারগুলো যদি ভাবতে পারে সরকারটি শুধু দলের নয়-পুরো দেশবাসীর, তাহলে মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ সম্ভব।
তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপির রাজনীতি কঠিন সংকটে পড়েছিল। বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক মেধার যে প্রকাশ লক্ষ করা গেছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছে এ দলটির ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। এ কারণেই আমরা আমাদের অনেক লেখাতেই বলার চেষ্টা করেছিলাম রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটা নির্ভার আওয়ামী লীগ ও লীগ সরকারের এখন বন্ধু বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। দেশে নানা সেক্টরে অনেক মেধাবী মানুষ রয়েছেন, যারা দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো পক্ষ নেই। তাদের কাছে টানলে আখেরে সরকারেরই লাভ হতো। কিন্তু এ ধারার উদার চিন্তা করতে পারেননি আওয়ামী লীগ নেতারা। তার বদলে দেখা গেছে শুধু দলীয় নয়-অনেক বর্ণচোরা বিএনপি-জামায়াত বিশেষ প্রশ্রয়ে ঢুকে পড়েছে এ ঐতিহ্যবাহী দলটিতে। দলের অকল্যাণে কাজ করেছে এরা। এবারের সরকারের কাছে একই পুরোনো অনুরোধ রাখতে চাই যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা মেধাবী মানুষদের মর্যাদা দিয়ে কাছে টানুন। এবারও নির্ভার থাকার কথা আওয়ামী লীগের। বিএনপি ও এর সমমনারা যতই গর্জাক, এসবই অসারের তর্জন-গর্জন। কোমর বেঁধে আন্দোলনে নেমেও মাঠে নামাতে পারেননি সাধারণ মানুষকে। নির্বাচন ও মন্ত্রিপরিষদ গঠনের পর হোঁচট খাওয়া ঘোড়া কতটুকুই বা দৌড়াতে পারবে! এখন তো নেতাদের ‘বাণী’ শুনলে মনে হয় কলেরগানের রেকর্ড বাজাচ্ছেন। এসবে কর্মী-সমর্থকরা উৎসাহিত হন কিনা জানি না। সাধারণ মানুষ নানা মিথ্যা দিয়ে সাজানো কথায় কৌতুকের আনন্দ অনুভব করে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে এগিয়ে গেলে কোন বিদেশি রাষ্ট্র কী বলল বা করল, তা নিয়ে ভাবার কোনো কারণ আছে বলে মনে করি না।
আজ সব মন্ত্রণালয়েরই শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো প্রয়োজন। প্রায় চল্লিশ বছর শিক্ষকতা করে এখন অবসরে যাওয়ার প্রহর গুনছি। তাই শিক্ষা প্রসঙ্গ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশা আমাদের অনেক বেশি থাকবে। ভালো লেগেছে একজন অপেক্ষাকৃত নবীন শিক্ষামন্ত্রী আমরা পেয়েছি। শিক্ষা-বিশেষজ্ঞ না হলেও তিনি শিক্ষিত মানুষ। এর আগে একই মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী থেকেও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছেন। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে হাঁটছি, তাই পেছনের ধারাবাহিকতা নয়, পেছনের ভুল শুধরে সামনে এগোতে চাই। সাম্প্রতিক সময়ে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির কয়েকটি টেক্সট বইয়ের বিষয়বস্তু, বিন্যাস ও ব্যবহৃত ছবি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। পরে রাষ্ট্রের বহু লাখ টাকার অপচয় করে এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষতির মধ্যে ফেলে বিতর্কিত বই উঠিয়ে নিতে হয়। সাম্প্রতিক কারিকুলামে নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেকটা বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে পাঠ্যসূচি ও মূল্যায়নে। চিন্তায় অনেক ভালো দিক থাকলেও শিক্ষক-অভিভাবক অনেকেই ভালোভাবে তা নিতে পারেননি। বিতর্ক চলছে এখনো। অনেক বরেণ্য শিক্ষা-বিশেষজ্ঞের মেধা থেকেই অমন কারিকুলাম তৈরি হয়েছে। তাহলে সমস্যাটি কোথায়?
যে কোনো দেশের শিক্ষাধারায় প্রাথমিক, নিুমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা শক্ত না হলে উচ্চশিক্ষার কাঠামোটিও দুর্বল হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের স্কুলপর্যায়ের শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে নিরীক্ষার অন্ত নেই। সর্বশেষ নিরীক্ষায় দেখা গেল, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃজনের চেয়ে বিজ্ঞান ও জীবন-জীবিকার লাগসই বিষয় চর্চার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বেশি। ইতিহাস চর্চায় গুরুত্ব অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একটি ইতিহাসবিষয়ক বক্তৃতা ছিল। ছাত্রছাত্রী ছাড়াও সেখানে অনেক অভ্যাগত ছিলেন। শ্রোতার সারিতে একজন পূর্ব পরিচিত ম্যাডামকে দেখলাম। পাপিয়া নাগ। তিনি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। সেমিনার শেষে আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি প্রাণিবিদ্যার ছাত্রী ছিলেন, ইতিহাসের বক্তৃতা শুনতে চলে এলেন! তিনি বললেন সব জ্ঞানের ভিত্তিই তো ইতিহাস। ইতিহাস পড়েই আমি প্রাণিবিদ্যার উৎস জানতে পেরেছি। কত সহজেই তিনি সত্যটি বুঝতে পারলেন।
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের উচ্চশিক্ষায় চিকিৎসাবিদ্যা ও প্রকৌশলবিদ্যাসহ সব বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক দুটো বিষয় থাকে। একটি নিজ দেশের ইতিহাস আর অন্যটি বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস। কারণ স্ব স্ব বিষয়ের জ্ঞান পূর্ণতা পাবে না ইতিহাসচর্চা ছাড়া। তাই বলছি নানা নিরীক্ষায় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে আমাদের দৃষ্টিতে সবকিছু যাতে কর্মমুখী না হয়ে যায়। সব শিক্ষার মৌলিক শক্তিটিকে যাতে আমরা ভুলে না যাই। আমরা যাতে জ্ঞানবিচ্ছিন্ন সমাজ তৈরি না করে ফেলি। যান্ত্রিক হয়ে শিক্ষার্থী যাতে মানবিক বৃত্তিগুলো হারিয়ে না ফেলে। আশার কথা, মাননীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রয়োজনে কারিকুলাম ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন।
আমার একটি সনির্বন্ধ অনুরোধ রয়েছে, শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি ও পুস্তক রচনায় আমরা যেন দলীয়করণ ভাবনায় আটকে না যাই। অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটি বলছি। আমি ১৯৯৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এনসিটিবির মাধ্যমিক, নিুমাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম তৈরি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। শেষদিকে দেখলাম দলীয় বিবেচনায় এবং কখনো সচিবের তদবিরেও বিশেষজ্ঞ কমিটিতে এমন কেউ কেউ যুক্ত হতে থাকলেন, যাদের স্কুলপর্যায়ের পুস্তক প্রণয়ন ও কারিকুলাম তৈরির কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এমনকি শিশুতোষ লেখার অভিজ্ঞতাও নেই। বরঞ্চ ভালো গবেষণা প্রবন্ধ লেখার যোগ্যতা রয়েছে। সেসব লেখা পুস্তকের জন্য যোগ্য করে তুলতে আমাদের অনেক বেশি শ্রম দিতে হয়েছিল। স্কুলপর্যায়ের গ্রন্থ রচনা আর কারিকুলাম প্রস্তুত খুব সহজ নয়। সারা পৃথিবীতে এ নিয়ে ছেলেখেলা করা হয় না। এ বিষয়গুলো আমাদের বুঝতে হবে। স্থাপত্যবিদ্যায় বলা হয় স্থাপত্য বা বসতি বিন্যাস হয় স্ব স্ব দেশের আবহাওয়া আর ভৌগোলিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে। অথচ আমরা শিক্ষায় বড় অবদান রাখা বহির্বিশ্বের কোনো কোনো দেশের কারিকুলামের আদলে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য কারিকুলাম তৈরি করে ফেলি। নিজ দেশের বাস্তবতাকে অনেক ক্ষেত্রে ধারণ করি না। এ জন্য মাঝেমাঝেই হোঁচট খেতে হয়। ২০১১ সালে সৃজনশীল প্রশ্ন যুক্ত করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে আমি ছিলাম। আমি প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছিলাম। যে স্টাইলে সৃজনশীলতার প্রস্তাব করা হয়, তা লাগসই বলে আমার মনে হয়নি। কয়েকজন মাস্টার ট্রেইনার দিয়ে সারা দেশের শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা যাবে না। অনেকেই মানতে চাননি। যুক্তি ছিল এ পদ্ধতিতে গেলে নোট-গাইড বই থেকে বেরিয়ে আসবে শিক্ষার্থী। আমি বলেছিলাম, দুর্বোধ্যতার কারণে ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি গাইড নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। খুব দ্রুতই সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তরের গাইড বইয়ে বাজার ও স্কুল ছেয়ে গেল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের গোলকধাঁধায় ফেলে অনেক তেল পুড়িয়ে শেষে বন্ধ করতে হলো সৃজনশীল প্রশ্নের খেলা। শুরু হয়েছিল শিশু শিক্ষার্থী নিয়ে আরেক নিরীক্ষা। পাবলিক পরীক্ষার আলোকে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা চালু হয়। শুরু হয় অভিভাবকের পকেট কাটা। রমরমা হয় গাইড আর কোচিং ব্যবসা। ক্লাস ফাইভ ও এইটের শিশু শিক্ষার্থীর হাতে চলে আসে গাইড বই। মায়েরা ছেলেমেয়েকে নিয়ে ছুটতে থাকেন কোচিং-বাড়ি। এর বিরোধিতা করে আমি অনেক কলাম লিখেছি। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের বড় রকমের ক্ষতি করে বন্ধ করতে হলো এ দুই পাবলিক পরীক্ষা। এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার আবর্তে আমরা বারবার কেন ঘুরছি জানি না। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করব বড় রকমের রূপান্তরের কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠার আগে ভাবতে হবে সারা দেশের বাস্তবতার কথা। শহরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা সামনে রেখে এগোলে চলবে না। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক স্কুল আছে, সেসব স্থানের ছাত্র-শিক্ষক অনেকেই নানা সুবিধাবঞ্চিত। যোগ্যতাও সমান নয়। নতুন আধুনিক ধারা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে তারা প্রস্তুত কিনা তা গভীর চোখে দেখতে হবে। হজম করতে না পারলে অনেক ভালো খাদ্যও সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রকৃত জ্ঞাননির্ভর শিক্ষাই সুশিক্ষা নিশ্চিত করে। আর সব কিছুর বাস্তবায়নের পেছনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ব্যাপক। নতুন সরকার নানা ধরনের অভিজ্ঞতার বিচারে অনেক প্রবীণ। তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এবার নিরীক্ষা থেকে বেরিয়ে দেশের চাহিদা বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের যেন আমরা গড়ে তুলি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার ধারাবাহিকতা থেকেই উচ্চশিক্ষা বলবন্ত হতে পারে। এ কারণে আমরা মনে করি, আমাদের শিক্ষাযাত্রার একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজ প্রয়োজন। সুশিক্ষা ও সুশাসনই আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়