বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্য দিবালোকে বসতবাড়িতে ঢুকে ফিল্মি স্টাইলে এক শিশু অপহরণ ও ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শিশুটির খালা জেসমিন আক্তার বাদি হয়ে বুধবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে জানাগেছে, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদারের বসতবাড়িতে জোরপূর্বক জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মালামাল তছনছ ও ভাংচুর চালিয়ে নগদ ৪৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। সিমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের নের্তৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী গৃহমালিক মোস্তাফিজুর রহমানের নাতি শিশু কণ্যা মুনতাহার (৫)কে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে মোটরসাইকেল যোগে বীরদর্পে চলে যায় দুর্বত্তরা।
এ সময় বাঁধা দিলে হামলাকারিদের এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে। জখমীরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৬৫), আসাদুজ্জামান হাওলাদার (৪৫), সাইফুল ইসলাম হাওলাদার (৩৫), কলেজ শিক্ষার্থী মারজানা আক্তার (১৮), হিজবুল্লাহ (২৪)কে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর জখমী সাই আসাদুজ্জামান হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গৃহকর্তী বৃদ্ধা হাসিনা বেগম বলেন, তার মেয়ে ও জামাতার সাথে বিবাহের পর থেকেই পারিবারিক কলহ লেগে থাকে। মেয়েকে নির্যাতন করে। গতবছর রমজান মাসে মেয়ে জাকিয়া বেগম মারা যায়। তারপর থেকেই তার দুটি শিশু মুনতাহার (৫) ও মুসফিকা (৮)। আমার কাছেই বড় হয়। এ নিয়ে তার পিতা আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত শিশুদেরকে আমি (নানী)’র নিকট থাকার নির্দেশনা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে বসতবাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল লুট করে শিশু মুনতাহারকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় কামরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসি জহিরুল ইসলাম হাওলাদার, জেসমিন আক্তার ভূক্তভোগীরা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের হামলার কারনে আমরা আতংকে রয়েছি। প্রশাসনের প্রতি হামলাকারিদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, শিশুকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।