মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরে ধর্ষন ও পর্ণগ্রাফি মামলার আসামী গ্রেপ্তার
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৩:২৭ PM
ফরিদপুর কোতয়ালি থানা পুলিশ কর্তৃক ধর্ষন ও পর্ণগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী শাহ আলম (৩৭) কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ। 

আসামি শাহ আলম মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন। আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারী ) ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাহ আলম  গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত হান্নানের ছেলে।

 জানা যায়, শাহ আলম বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন করে ভিডিও চিত্র তার মুঠোফোনে ধারন করে পরবর্তিতে উক্ত ভিডিও চিত্রর ভয়ভিতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পুনরায় ধর্ষন করতে চাইলে উক্ত ছাত্রী বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।  দীর্ঘ চেষ্টার পরে বুধবার আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

এলাকা সুত্রে জানা যায়, আসামি শাহআলম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ধূর্ত এবং বদ প্রকৃতির। তারা আসামির উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন। কোতয়ালি থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মিজান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে  বলেন, আসামি শাহ আলম মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। আমরা উন্নত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান সনাক্ত করে ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে আজ সকালে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

খোজখবর নিয়ে জানা যায়, আসামি শাহ আলম  ছাত্র জীবনে একটি স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করার সময় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরবর্তিতে বিবাহ করতে বাধ্য হয়। কিছুদিন পরেই উক্ত ছাত্রীর কোল জুড়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। কিন্তু বিধি বাম! ঢাকায় থাকার সুবাদে শাহ আলমের সঙ্গে সুবাহ নামে আরেক মেয়ের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তিতে সম্পর্ক টেকেনি উক্ত সোবাহর সঙ্গেও এবং শাহআলম স্বভাবসুলভ ভাবেই খুঁজতে থাকে তার নতুন শিকার। পেয়েও যান তার বিশেষ যোগ্যতার কারনে। বিয়ে করেন খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার জেবা নামে এক মেয়েকে। এ ঘরেও জন্ম নেয় এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। এর পরও শাহ আলম নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হন মামলার বাদি এই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে। নিজেকে শিল্পপতি এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক বলে পরিচয় দিয়ে এই কলেজ ছাত্রীকে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারন করেন।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত