রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫
পেকুয়ায় কোটি কোটি টাকা আমদানি রপ্তানির বাজারে সড়কজুড়ে পার্কিং
এম গোলাম রহমান, পেকুয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:১৮ PM
পেকুয়ার বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্রে সড়কে যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং। ব্যস্থতম এই সড়কের দু’পাশ জুড়ে সকাল সন্ধ্যা লেগেই থাকে তীব্র যানজট। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রায় আড়াই  লাখ মানুষ। পাঁচ মিনিটে যাতায়াতের এই সড়কে দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা। বলছিলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার একমাত্র প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহাম্মদ চৌধুরী পেকুয়া বাজারের কথা। আর এটি বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন নৌ-ঘাটি সড়কের প্রধান সংযোগ সড়ক। 

সরেজমিন দেখা যায় উপজেলার একমাত্র কোটি কোটি টাকা আমদানি রপ্তানি বাজারের, বানৌজা শেখ হাসিনা মহাসড়কের ওপর অবৈধ পার্কিং। সড়কের দুই পাশে ছোট ছোট ভ্যানগাড়ীর দোকান, যত্রতত্র পার্কিং এক অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। সড়কের ওপর অবৈধভাবে দখল করে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা,বেটারীচালিত টমটম,রিকশা ও বাস গাড়ি। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। অপরদিকে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাণিজ্যিক পয়েন্টে নেই কোন ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা। ফলে জরুরী সার্ভিস এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস এই সড়ক পার হতে সময় লেগে এক ঘন্টা। বাজারে ঢুকলেই ক্রেতা বিক্রেতার ভোগান্তির শেষ নেই। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এসড়কে  চলাচলকারী স্কুল শিক্ষার্থী,রোগী, চাকরিজীবি, বিভিন্ন পেশার শ্রমিক, অবস্থাদৃষ্টে দেখলে মনে হয়, এই অবৈধ পার্কিং দেখার কেউ নেই। 

উপজেলার বৃহত্তর উন্নয়নযজ্ঞ এ বাজারে প্রতিনিয়ত কয়েক কোটি টাকা আমদানি রপ্তানি হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নেই পুরো প্রাণকেন্দ্র জুড়ে। ব্যবসায়ীদের দাবী সামনে রমজান মাস উপলক্ষে পেকুয়া বাজারে যানজটের আমূল পরিবর্তন না হলে আমরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবো। এমতাবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনসহ বাজার কমিটির কাছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবী আমরা এগারো মাস কোন রকম ব্যবসা চালিয়ে যায়। রমজান মাসে ব্যবসায় আশানুরূপ সাফল্য নাহলে এগারো মাসের ঘাটতি পূরণ করতে হিমশিম পড়তে হবে।
সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার হাটের দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘঠে এই বাজারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানান, এই বাজারটি জেলার বহুল পরিচিত অথচ পুরো বাজার জুড়ে কোন গাড়ির পার্কিং সু-নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা নেই। নেই ট্রাফিক পুলিশ। পেকুয়া কলেজ শিক্ষার্থী সাইমুন আক্ষেপ ছুড়ে বলেন,আমরা প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার সময় বাজারে ঢুকতেই লম্বা জেমে পড়ে যায়। ঐদিকে ক্লাসে যতাসময়ে উপস্থিত হতে পারিনা। 

অপরদিকে টমটম চালক শাহাদাত ও জাহাঙ্গীর জানান আমরা সড়কে পার্কিং করি এবং চাঁদাও দিয়ে থাকি। আমরা কি করবো আমাদের তু কোন সু-নির্দিষ্ট গাড়ি পার্কিং করার জায়গা নাই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফার্মেসী ব্যবসায়ী বলেন, পেকুয়া বাজারের মত গুরুত্বপূর্ণ বাজারে মেইন রোড়ের সাথে দোকান নিয়েছি অগ্রিম দশ লাখ টাকা দিয়ে, অথচ সারাদিন দোকানের সামনে গাড়ির কাউন্টার! 

এ বিষয়ে জানতে পেকুয়া বাজার সমিতির সেক্রেটারি শাহেদ ইকবাল এ প্রতিবেদকে জানান, গত বছরের জুন মাসে,পেকুয়া বাজারে গণশৌচাগার, ডিভাইডেট, সিসি ক্যামেরা, ও ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য ডিসি মহোদয় বরাবর প্রস্তাব দাখিল করি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত দুই মাস আগে বাজারের অবকাঠামো উন্নয়নের উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে উপজেলার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের তত্বাবধানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান গত সপ্তাহে উপজেলায় আইন শৃংখলা কমিটির মিটিং পেকুয়া বাজার যানজটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পেকুয়ার বাজার যানজট মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

এই বিষয়ে জানতে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই তোয়াইহ্ললা জানান, গত সপ্তাহের মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির মিটিং পেকুয়া বাজারের যানজটের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রমজান মাসের আগেই সর্বসাধরণের সবির্ধাতে পেকুয়া বাজার যানজট নিরসনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এছাড়া রমজান মাসের পরে বৃহৎ আকারে অভিযান পরিচালনা করবো। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত