কক্সবাজারের উখিয়ায় মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে অসহায় গরীব পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণা হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মরিচ্যা গুরামিয়া গ্যারেজ এলকার মোঃ আলম ও ফরিদুল আলম দুই ভাইয়ের প্রতারণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার রন্তাপালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জাফর পল্লান পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে ড্রাইভার সরোয়ার কামাল ও ৪ নং ওয়ার্ডের হারু ফকির পাড়া এলাকার মৃত নাজির হোসেনের ছেলে মীর আহম্মেদ ও ৪ নং ওয়ার্ডের হারু ফকির পাড়ার আব্দুল আলমের ছেলে আবুল হোসেন ও একই এলাকার বাইজিত বুস্তাঁমির স্ত্রী আলতাজ বেগম ও ভালুকিয়া হারু ফকির পাড়ার মৃত নাজিরের ছেলে ছৈয়দ আলম সহ মোট ৬টি বাড়ি নির্মাণ করে দিবে বলে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেন মরিচ্যা গুরামিয়া গ্যারেজ এলকার মোঃ আলম ও ফরিদুল আলম।
টাকা নেওয়ার পর বাড়ি নির্মাণ না করে বিভিন্ন ব্যস্ততা দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসছে। পরে ভোক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় চেয়ে উখিয়া থানায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গুরা মিয়ার গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্ত ভোগীরা জানান, আমরা অসহায় গরীব লোক; দিনে এনে দিনে খাই। আমাদের দীর্ঘ দিনের আশা ছিল একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করবো, ছেলে মেয়েদের নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো। তবে সই আশা পূর্ণ হলো না, ৬টি পরিবারের হাসির স্বপ্ন দুঃখের সাগরে বাসিয়ে দিল মরিচ্যার গুরা মিয়ার গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলম।
আলম কোটবাজার মেসার্স আসাদ সেনেটারী দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করেন। পরে সে হঠাৎ করে বলেন ৯০ হাজার টাকা দিয়ে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষে থেকে গরিব অসহায় জনগণকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে। তখন আমরা তার কথায় সন্তুষ্ট হয়ে আমরা সবাই টাকা দেই। কিছু বাড়ি অর্ধেক কিছু বাড়িতে বালি ইট এনে নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলেন। পরে তার মোবাইলে একাদিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে কারও কল রিসিভ না করায় আমরা উখিয়া থানায় অভিযোগ করি।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, মোঃ আলম ও ফরিদুল আলম এই দুই ভাইয়ের প্রতারণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী কোন টাকা দিবে না বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভবিষ্যতে আমাদের পাওনা টাকা দাবি করলে খুন জখম করবে বলে হুমকি দেন। কোটবাজার মেসার্স আসাদ সেনেটারী থেকে মালামালের বকেয়া ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার দুই টি চেক দিলেও তা পাস হয়নি। টাকা খুঁজলে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন। এ ব্যাপারে মোঃ আলম ও ফরিদুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফেন রিসিভ করেনি।
পাওনা টাকা না দিয়া আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে মোঃ আলম। পাওনা টাকা না দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোহিতা চয়েছেন।
বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, আমাদের সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে সে বিভিন্ন প্রতারণা করেছে। উখিয়া হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গুরা মিয়ার গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলম কে অনেক আগেই বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উখিয়া উপজেলা কমিটি থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়ছিল। সে যদি বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কোনো সদস্য পরিচয় দেন থাকে আইনের আওতায় আনা হবে।