ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সালিশ সভায় অসুস্থ হয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন (৬০) ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না-লিল্লাহ.. রাজেউন। গতকাল শনিবার(৯ মার্চ) রাত ৮টায় পৌর শহরের খড়মপুর মাজার শরীফ মার্কেট কাম রেস্ট হাউজের হলরুমে সালিশ সভা শুরু হওয়া মাত্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর গ্রামের বাসিন্দা।
লিটন খাদেমের ছোট ভাই রুপম খাদেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আখাউড়া পৌরসভার টানা তিন মেয়াদে কমিশনার ও কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি খড়মপুর কল্লা শহীদ রঃ মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটিরও বর্তমান সদস্য ছিলেন। একজন ভালো সালিশকারক হিসেবেও এলাকায় তার পরিচিত ছিল।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়ে সহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। রবিবার (১০ মার্চ) বাদ জোহর জানাজা শেষে খড়মপুর মাজার শরীফ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, লিটন খাদেমের ছোট ভাই মাইনুদ্দিন খাদেম ও একই গ্রামের খাঁ বাড়ির ফোরকান খাদেমের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শনিবার রাত ৮টায় মাজার হলরুমে সালিশ সভা বসে। সালিশ চলাকালে এক পর্যায়ে ফোরকান খাদেমের পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। এবং তারা সালিশ সভায় হট্টগোল করে সভাস্থল থেকে চলে যায়। এ অবস্থায় মানসিক চাপে লিটন খাদেম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা লিটন খাদেমের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে তার পরিবার। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সবর্ত্র শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।