মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
চলচ্চিত্র ও গানে বঙ্গবন্ধু
মশিউর অর্ণব
প্রকাশ: রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪, ৮:০১ PM আপডেট: ১৭.০৩.২০২৪ ৮:৩৭ PM
জাতির রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর হাত ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজ (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে জন্ম নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ বুলেটিনের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম, আন্দোলন, কারাবরণ ও জীবনাবসান নিয়ে নির্মিত বেশ কিছু চলচ্চিত্রের বিস্তারিত-

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এ দেশে চলচ্চিত্রের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা। তার উত্থাপিত বিলের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, যা বর্তমানে এফডিসি নামে পরিচিত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ হতে থাকে। 








১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ‘সংগ্রাম’ সিনেমাটি। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত এ সিনেমায় একটি দৃশ্যে অভিনয় করেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধ রক্ষা করতেই এ ছবির শেষ দৃশ্যে অভিনয় করেন বঙ্গবন্ধু। এ ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এ দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। এক প্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা খসরু। প্রথমে না করলেও পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানের মাধ্যমে অনুরোধ করিয়ে অভিনয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুকে রাজি করান খসরু।

স্বাধীনতার তিন বছরের মাথায় চলচ্চিত্রের বিশেষ দৃশ্যে বঙ্গবন্ধু অভিনয় করলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহ দেখা যায়নি নির্মাতাদের। তবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু, তার জীবন ও কর্ম নিয়ে বেশকিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়, যার বেশ কয়েকটি মুক্তি পেয়েছে। 








মুজিব: একটি জাতির রূপকার
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এর নির্মাণ ব্যয় ৮৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ মোট অর্থের ৫০ কোটি ও ভারত ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছে। 

এ সিনেমায় আরিফিন শুভ, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও জায়েদ খান অভিনয়ের জন্য মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন শিল্পীরা। জানিয়েছেন, এ সিনেমায় কাজ করতে পেরে তারা ধন্য।








‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ প্রসঙ্গে অভিনেতা আরিফিন শুভ বলেন, ‘মুজিব সিনেমায় অভিনয় করার অভিজ্ঞতা বলে বুঝানোর মতো না। আমি মনে করি, এটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হয়ে থাকবে। এই সিনেমার পর আর এখন আমি যদি মরেও যাই তাতেও কোনো দুঃখ থাকবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা তো মানুষের জীবন নিয়েই তৈরি হয়। কখনও কাল্পনিক ঘটনা, কখনও বাস্তব। আর এটি একটি বাস্তব গল্প। সিনেমাটি দেখে আপনারা তৃপ্তি পাবেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।’







নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবতী যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ সিনেমার পর যদি আর কোনো সিনেমা নাও করি, তাও কোনো আক্ষেপ থাকবে না।’ 

ফজুলর রহমান বাবু বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়- এটি একটি ইতিহাস। আমি এ ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলাম।’









এর আগে গত বছরের ১৯ মে ফ্রান্সে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রাথমিক ট্রেলার মুক্তি পায়। আর সেন্সর বোর্ডে আনকাট ছাড়পত্র পায় চলতি বছরের ৩১ জুলাই। সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। খন্দকার মোশতাক আহমদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। কিশোর শেখ মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি।

এ ছাড়া রেণু (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) চরিত্রে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেখ রেহানা চরিত্রে সাবিলা নূর, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদ চরিত্রে রিয়াজ, এ কে ফজলুল হক চরিত্রে শহীদুল আলম সাচ্চু, টিক্কা খান চরিত্রে জায়েদ খানসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন। 






অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (ছোট রেনু), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান) ও এলিনা (বেগম খালেদা জিয়া)। সিনেমাটিতে ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীজা ভট্টাচার্য, রাজেন মোদি, দেবাশীষ নাহা, সোমনাথ, কৃষ্ণকলি গাঙ্গুলি, আবির সুফি, অরুণাংশু রায় প্রমুখ।







জানা যায়, এর চিত্রগ্রহণের প্রকৃত তারিখ হিসেবে নভেম্বর ২০১৯ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পিছিয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ করা হলে তাও স্থগিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি  ভারতে চিত্রগ্রহণ শুরু হয় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর। চিত্রগ্রহণের প্রথম ধাপ ১০০ দিনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়। আর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের দৃশ্যগুলো দ্বিতীয় ধাপে শুট করা হবে। 













বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে চিত্রগ্রহণের কাজ একাধিকবার স্থগিতের পর ২০ নভেম্বর থেকে বেশ কিছু দৃশ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ধারণ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের চিত্রগ্রহণ চলে প্রায় ৫৯ দিন।

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন শামা জাইদি ও অতুল তিওয়ারি। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ‘বিএফডিসি’ (বাংলাদেশ) ও ভারতের ‘এনএফডিসি’। এটি বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় করা হয়েছে। সিনেমাটির দৈর্ঘ ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট। এই সিনেমার একমাত্র গান ‘অচিন মাঝি’ লিখেছেন জাহিদ আকবর। এতে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন শান্তনু মৈত্র; যিনি চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালকও। এটিই তার চলচ্চিত্রে গাওয়া প্রথম গান।







টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই
শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত আরেক ছবি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’। সেলিম খান পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে দেখা গেছে শান্ত খানকে। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী রেণুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। ছবিটি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হয়। 



















৫৭০
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘতকদের হাতে সপরিবারে খুন হন বঙ্গবন্ধু। রুপালি পর্দায় সেই দিনটার ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে ‘৫৭০’ সিনেমার মাধ্যমে। বাপ্পি চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া একজন সেনাবাহিনীর সৈনিক চরিত্রে দেখা যাবে। মূলত তার উপস্থিতিতেই হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় টুঙ্গিপাড়ায়। আশরাফ শিশিরের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছবিটি চলতি বছর মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাপ্পি ছাড়াও ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ, স্বাধীন খসরু, সুমনা সোমা, কাজী রাজু, এলিনা শাম্মীসহ তিন শতাধিক শিল্পী।





















টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা
বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’। সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার। এ সিনেমায় উঠে আসবে বঙ্গবন্ধুর কৈশোর ও যৌবনের গল্প। আর এ দুটি সময় তুলে ধরতে সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে থাকছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, লুৎফর রহমান জর্জ, ফজলুর রহমান বাবু, রহমত আলী, গোলাম ফরিদা ছন্দা, এলিনা শাম্মী, সৌম্য জ্যোতি প্রমুখ।







চিরঞ্জীব মুজিব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নজরুল ইসলাম। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত ছবিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ১৯৪৯-৫২ সালের মধ্যকার ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে। এ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। ফজিলাতুন্নেছা রেণুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা এবং বঙ্গবন্ধুর বাবা ও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে খায়রুল আলম সবুজ ও দিলারা জামান। সিনেমাটি এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

















মুজিব আমার পিতা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য দ্বিমাত্রিক (টু-ডি) অ্যানিমেশন ‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্রটি। এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। গত বছর সিনেমাটি মুক্তি পায়।










তর্জনী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা ‘তর্জনী’। ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কেমন প্রভাব ফেলছে, তা তর্জনী সিনেমায় তুলে ধরবেন পরিচালক সোহেল রানা। এ সিনেমায় ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০১৭- এ তিনটা সময়কে দেখানো হবে। পরিচালক সিনেমা সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য ফার্স্ট লুক হিসেবে পোস্টার প্রকাশ করেছেন। তর্জনী সিনেমার গল্প যৌথভাবে লিখেছেন সোহেল রানা বয়াতি ও শাহাদাত রাসেল। আর চিত্রনাট্য লিখছেন শাহাদাত রাসেল।
















আগস্ট ১৯৭৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের পরের দিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে নির্মাণ হয়েছে ‘আগস্ট ১৯৭৫’। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন সেলিম খান। এতে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, মাজনুন মিজান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ফজলুর রহমান বাবু, তাসকিন রহমান, মাসুমা রহমান নাবিলা, দিলারা জামান, তৌকীর আহমেদ, তানভীন সুইটি প্রমুখ।
















রেডিও
৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসক ভাষণ বাঙালি জাতি শুনতে পেয়েছিল রেডিওর মাধ্যমে। সেই ভাষণকে কেন্দ্র করে প্রত্যন্ত ওই গ্রামে জেগে উঠেছিল একদল মুক্তিপাগল জনতা, যা পরবর্তী সময়ে সূচিত করে স্বাধীনতার ভিত্তি। এ রকম একটি গল্প নিয়েই সাজানো হয়েছে ‘রেডিও’ সিনেমার গল্প। এতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, মমসহ আরো অনেকে।




















মাইক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত হচ্ছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র মাইক। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এফএম শাহীন ও হাজান জাফরুল বিপুল। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, ফেরদৌস আহমেদ, তানভীন সুইটিসহ আরো অনেকে।

শুধু দেশেই নয়, বলিউডেও বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে ছবি নির্মিত হচ্ছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘ব্যাটল ফর বেঙ্গল’। পরিচালনা করবেন রিচি মেহতা। জানা যায়, পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিরে। চলতি বছর সবগুলোই মুক্তি পাবে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতার নির্মাতা গৌতম ঘোষের তথ্যচিত্র ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান 
যদি রাত পোহালে : ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ গানটি লিখেছেন হাসান মতিউর রহমান। মলয় কুমার গাঙ্গুলীর সুরে এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমীন।

একটি মুজিবের থেকে : গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের কথা ও অংশুমান রায়ের সুরে এই গানটি গেয়েছিলেন লক্ষ্মীকান্ত রায়। এরপর অনেকেই গানটি গেয়েছেন। 








জনগণের নয়নতারা : বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম গান তৈরি করেন শাহ আবদুল করিম। শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, সুনামগঞ্জে তিনি প্রথমবার এসেছিলেন ১৯৫৬ সালের ২৬ নভেম্বর। ওইদিন বিকালে শেখ মুজিব সুনামগঞ্জে আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেন। সে সমাবেশে শেখ মুজিবকে নিয়ে স্বরচিত একটি গান পরিবেশন করেন শাহ আবদুল করিম।









বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে : বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন গান গেয়েছেন মমতাজ। ‘বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে, শেখ হাসিনার এই দেশে, স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ’। 

শোকাবহ আগস্ট : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও আগুন গেয়েছেন ‘শোকাবহ আগস্ট’ শিরোনামের গান। লিখেছেন এইচএ গোলন্দাজ। সুর ও সঙ্গীত করেছেন অন্তু গোলন্দাজ। 

















বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত আরও অনেক গানের মধ্যে অশোক পালের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে, মতিয়ার রহমানের তুমিই বাংলাদেশ, সেই ১৫ আগস্ট, আবুল লায়েসের তিনি কি আসবেন, এসআই টুটুলের বঙ্গবন্ধু তুমি আমার সোনার বাংলাদেশ, দিলীপ সেনের বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা দিয়েছো বাঙালির, ওমর ফারুকের আমার বঙ্গবন্ধুর নৌকায় চড়ে, সায়েফ আলীর বঙ্গবন্ধু ফিরে এসো, সুভাষ দাসের ও মুজিব তুমি মিশে আছো, অটামনাল মুনের তুমি আমার বঙ্গবন্ধু, নিশিতা বড়ুয়ার রক্তমাখা সিঁড়ি, রফিকুল আলমের অবাক পিতা, শেখ ফরিদের সাত কোটি মানুষের মুক্তির জন্য উল্লেখযোগ্য।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত