থানা পুলিশের সহযোগীতায় ইংল্যান্ডের এক নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগির বড় ভাই। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সিকিউরিটি সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাব রোডে এই সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবাসীর বড় ভাই অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মিয়া হোসেন রানা ও পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার দুই ভাই ইতালি ও লন্ডনে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন। ৪৫ বছর আগে তাদের পিতা হাজী আব্দুল লতিফ মিয়া দাক্ষিনখান এলাকায় দুইশত শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগদখল করেছন। সম্প্রতি পুলিশের সোর্স পরিচয়ে জৈনক বেনজির আহমেদ অন্যায় ভাবে জমির আংশিক মালিকানা দাবি করে জোরপুর্বক দখল করার চেষ্টা করছে। অসংখ্য বার গাজীপুর মেট্রো সদর থানা পুলিশ বেনজিরের পক্ষে জমি দখলের সহযোগীতায় ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ মিয়া হোসেন রানাকে তার জমি থেকে নির্মাণ সামগ্রীসহ তুলে নিয়ে থানায় ৭ ঘন্টা আটকে রাখে। পুলিশ অন্যায় ভাবে জমি দখলের জন্য মিয়া হোসেন রানা ও তার প্রবাসী ভাই মনিরুজ্জামানসহ ১২ জনের নামে চলতি সনের ১৮ জানুয়ারি একটি চাঁদাবাজি মামলা দেয়। পুলিশি সহযোগীতায় জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে একই সনের ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন প্রবাসী মনিরুজ্জামান। এরপরও পুলিশ মিয়া হোসেন রানা গংদের জমি দখলের জন্য চেষ্টা করতে থাকে। ৩১ মার্চ মনিরুজ্জামান লন্ডন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের সিকিউরিটি সেলে প্রতিকার চেয়ে ইমেইলে (ই ৯৬) একটি আবেদন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবাসীর ভাই মিয়া হোসেন রানা নিরাপত্তার দাবী করে বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ভয়ে ঘরে থাকতে পারছিনা, জমিতেও যেতে পারছিনা। ইতিমধ্যে পুলিশ আমার গাজীপুর ও উত্তরার বাসায় তল্লাশি করে আমার ৯০ বছরের পিতার সাথে খারাপ আচরন করায় তিনি স্ট্রোক করে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে আমি ও আমার কোন লোকজন গাজীপুর সদরেও যেতে পারছিনা পুলিশের ভয়ে। তাই উপায়ন্ত না পেয়ে টঙ্গীতে সাংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হলাম। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমি ও আমার পরিবারের জান-মালের নিরাপত্তা দাবী করছি।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ওনি কখনও আমার কাছে আসে নাই।