রফিউল হাসনাত ও সাজ্জাদুর রহমান পার্টনাশিপে "মিট বাজার" নামের একটি ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে বিগত চার মাস যাবৎ গরুর মাংস বিক্রি করে আসছেন।
রমজান মাসে মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, তাই গত ৮ মার্চ মোঃ শাহজাহান (৪০) নামের এক পূর্ব পরিচিত মাংস সরবরাহকারীকে ৫৮ মন মাংস সরবরাহের জন্য সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগর প্রদান করে এই দুই ব্যবসায়ী৷
কিন্তু ১০ মার্চ রাতে মাংস সরবরাহের কথা থাকলেও সেই দিন মাংস সরবরাহ না করে আত্মগোপনে চলে যান শাহজাহান ৷ তার বসতবাড়ি সহ নানান স্থানে খুঁজেও শাহজাহানের হদিস না পেয়ে বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা শাখাকে জানানো হলে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার একটি চৌকস টিম রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহজাহানকে আটক করে৷
মামলার তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, অভিযোগটি পাওয়ার পর আমাদের জেলা পিবিআই এর এসআই শাহাদাত হোসেন এর সমস্বয়ে একটি টিম আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করেন।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি মোঃ শাহজাহান এর অবস্থান নিরূপন করে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার উত্তরা-পশ্চিম থানাধীন ৯নং সেক্টর ১০(এ)নং রোডের ১১নং বাড়িস্থ বাজাজ ওয়ার্ল্ড নামক একটি শো-রুম থেকে আসামী মোঃ শাহজাহানকে আটক করেন। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারই হেফাজতে থেকে আত্মসাৎ করা টাকায় কেনা একটি মোটর সাইকেল এবং নগদ নয় হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান মাংস সরবরাহের নামে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানান, আটক মোঃ শাহজাহান মাংস সরবরাহের কথা বলে অন্তত ১৩ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একই কায়দায় ১,৪০,২৩,০০০/-(এক কোটি চল্লিশ লক্ষ তেইশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান থাকবে৷
আটক মোঃ শাহজাহান (৪০), হাটহাজারীর মধ্যম মাদার্শার মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে। এই ঘটনায় শাহজাহান সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।