স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের জিন্দাকাঠি গ্রামে অভিনব কৌশলে উলঙ্গ অবস্থায় ঘরের সিদ কেটে ডুকে পঞ্চাশ উর্দ্ধো এক বৃদ্ধা নারীকে কে ধর্ষন সহ তার পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছয়জনের একটি চোরের দল ওই ঘরে মুখোশ পড়া অবস্থায় প্রবেশ করে বৃদ্ধার স্বামী অতুল মন্ডলের মুখ, হাত পা বেধে ঘরের খাটের নিচে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে ওই বৃদ্ধার হাত পা বেধে চোরেরা পালাক্রমে ধর্ষন করে। এসময় তার পুত্রবধূ শতাব্দি রায় ডাক চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে তার একমাত্র শিশু সন্তানকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাকে শারিরীক নির্যাতন চালানোর চেস্টা করে। এসময় তাদের ঘর থেকে নগদ টাকা স্বর্নালংকার সহ বেশ কিছু আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
ওই ঘরের পুত্রবধূ শতাব্দি রায় অভিযোগ করেন, ৩১ মার্চ রাত আনুমানিক ২টার দিকে চোরেরা উলঙ্গ অবস্থায় সিদ কেটে ঘরে ডুকে। এসময় তারা তার শশুর অতুল মন্ডলের মুখ হাত পা বেধে ফেলে রাখে। এক পর্যায় তার শাশুড়ি (৫০) জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। তিনি বলেন আমি ডাক চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে চোরেরা আমার শিশু সন্তানকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমাকেও ধর্ষনের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমাকে কিল ঘুষি মেরে ঘরের স্বর্নালংকার সহ বেশ কিছু আসবাবপত্র নিয়ে চলে যায়।
জিন্দাকাঠির দেব দুলাল মন্ডল বলেন,আরতী এবং শতাব্দী আমাকে রাত চারটার বাসায় গিয়ে ডাক দিয়ে বলে আমার বাসায় চোর আসছে এবং সব কিছু নিয়ে গেছে এবং আমাকে রেপ করছে বলেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এক ঘন্টা তারা ছিলো পরে চলে আসে।
শতাব্দির স্বামী বিকাশ মন্ডল অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। ৩১ মার্চ রাতে চোরেরা সিদ কেটে ঘরে ডুকে। এসময় তার মাকে ধর্ষন করে চোরেরা। পরে ঘরের নগদ টাকা সহ স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। তবে কারা এই চুরি করেছে তিনি তা বলতে পারছেননা। বিকাশ মন্ডল বলেন এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলমান। তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হলে প্রয়োজনে মামলা নেয়া হবে।