চৈত্রের তাপদাহের সাথে চট্টগ্রামে বেড়েছে লোডশেডিং। এর এই লোডশেডিং এর সুযোগে পাল্লাদিয়ে বাড়ানো হচ্ছে চার্জার ফ্যানের দাম৷ অন্যদিকে গরমে ঘরে ঘরে যখন জ্বর আর ডায়রিয়ার প্রকোপের দেখা দিচ্ছে তখন চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ভোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে মিলেছে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার৷ কিছুটা বিলম্বে হলেও এসব তদারকি করতে স্বল পরিসরে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর রাইফেল ক্লাব মার্কেট ও নিউ মার্কেট এলাকায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দামের অসামঞ্জস্য ও ভোগ্য পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণের চিত্র।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে নগরীর রাইফেল ক্লাব ও আশপাশের মার্কেটে চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান৷ এসময় বেশি দামে চার্জার ফ্যান বিক্রি ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচারে দামে অসামঞ্জস্য দেখতে পান জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় রাইফেল ক্লাব এলাকার মেসার্স শাহ জালাল ইলেকট্রনিক্সকে ২০ হাজার টাকা, এসএইচ ইলেকট্রনিক্সকে ৫ হাজার টাকা ও লুক ইলেকট্রিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফুলকলির মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য
একই আভিযানিক টিম কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট এলাকার ফুলকলি আউটলেটকে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক সংরক্ষণ এবং অপরিচ্ছন্ন মিষ্টিজাত খাবার প্রক্রিয়াজাত করার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, এই সময়ে চার্জার ফ্যানের দাম যাতে কেউ অযাচিতভাবে বাড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে আজকের এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে বেশি দামে চার্জার ফ্যান বিক্রি ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচারে দামে অসামঞ্জস্য থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সর্বমোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ কেক সংরক্ষণ এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মিষ্টিজাত খাবার প্রক্রিয়াজাত করায় নিউমার্কেট এলাকার ফুলকলি আউটলেটকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।