বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫ ১ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
আসন্ন বাজেট ও কিছু বিবেচ্য বিষয়
ড. শামসুল আলম
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ১১:১৮ AM
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হলে (২০০৯) দেশে প্রথমবারের মতো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রূপকল্প ২০২১ গৃহীত হয় এবং বলা হয়, এই দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) বাস্তবায়নে দুটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গৃহীত হবে, যা ছিল ষষ্ঠ (২০১১-২০১৫) ও সপ্তম (২০১৬-২০২০) পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। রূপকল্প ২০২১-এ গুরুত্বপূর্ণ কতকগুলো মাইলফলক অর্জনের প্রাক্কলন করা হয় এবং তা বাস্তবায়নে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর প্রাক্কলন উপস্থাপিত হয়।

২০২১ ছিল স্বাধীনতা অর্জনের ৫০তম বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষ্যে মাইলফলক অভীষ্টগুলো অর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়; যা ছিল- 

ক. বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া, যা ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সমাপ্তিতে ১ জুলাই ২০১৫ বিশ্বব্যাংক কর্তৃক মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে নিম্ন-আয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাঝপথে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের শ্রেণীকরণে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো তিনটি সূচকে নির্ধারিত মান পূরণ করায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। তিন বছর পর ২০২১ সালে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো নির্ধারিত তিনটি সূচকেই উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে, যে ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। 

খ. মাথাপিছু আয় ২০২১ সালে দুই হাজার ডলারে উন্নীতকরণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় অর্জিত হয়েছে প্রক্ষেপণের চেয়ে বেশি, যা ছিল দুই হাজার ৪৬২ মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশ ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।

 গ. প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতা  অর্জন। এই জেন্ডার সমতা ২০২১-এর আগেই অর্জিত হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে উভয় ক্ষেত্রেই প্রতি শ্রেণিতে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হয়েছে।

ঘ. ২০১৩-১৪ সময়ের মধ্যে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। বান-বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বছর ব্যতীত চালে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে।

ঙ. প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে উন্নীতকরণ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বর্ষে ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ কেবল মাথাপিছু আয়ে নয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সূচকে ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে; যেমন—সাক্ষরতার হার, প্রত্যাশিত গড় আয়ু, মাতৃমৃত্যু, জন্মহার কমিয়ে আনা ইত্যাদি।

অর্থবছরে মোট দেশজ আয়ের পরিমাণ ছিল ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নীত হয় ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, এক দশকে বৃদ্ধি পায় চার গুণ। ওই একই সময়ে মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৭৬ মার্কিন ডলার থেকে দুই হাজার ৫৯১ ডলারে। এই উন্নয়ন উল্লম্ফনের মূল চালিকাশক্তি ছিল বাস্তবায়নযোগ্য স্বপ্নতাড়িত রূপকল্প দলিল ২০১০-২০২১ এবং এর অধীন দেশের ও সময়ের বাস্তবতায় প্রণীত দুটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (ষষ্ঠ ও সপ্তম)। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষে প্রণীত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল (২০১৫)। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সব দরিদ্রকে কোনো না কোনো কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে সুবিধা দেওয়া হবে। এতে সব অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ও স্বনিয়োজিত নাগরিকদের জন্যও স্বেচ্ছা অংশগ্রহণমূলক পেনশন স্কিম চালুর প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং যা এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালে প্রণীত হয় শতবর্ষী বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ (সেপ্টেম্বর ২০১৮)।

বাস্তবমুখী উল্লিখিত পরিকল্পনা দলিলগুলো ও কৌশলপত্রগুলোর বাস্তবায়ন সাফল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরবর্তী দুই দশকের জন্য (২০২১-২০৪১) দ্বিতীয় রূপকল্প দলিল, রূপকল্প ২০৪১ প্রণয়নের নির্দেশনা প্রদান করেন। রূপকল্প ২০৪১ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। এই রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে গৃহীত হয় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫)। 

রূপকল্প ২০৪১ পথচিত্র তৈরিতে লক্ষ্য স্থির হয় যে ২০৩১ নাগাদ প্রবৃদ্ধির হার অর্জন করতে হবে ৯ শতাংশ, যাতে ২০৩১ সালে বাংলাদেশ উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হতে পারে। বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে ১ জুন ২০১৫। রূপকল্প ২০৪১ অধীন প্রণীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কভিড মহামারির ফল বিবেচনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮ শতাংশ, অর্জিত হয়েছে ৬ শতাংশ, ২ শতাংশ পয়েন্ট পিছিয়ে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে (অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বাজেট) প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে (৮.৫১ শতাংশ, মূল প্রস্তাব) বাজেট আকার হওয়ার কথা ছিল ৯ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। বাজেট হয়েছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ হাজার কোটি টাকা। অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি, কারণ : কভিড-১৯ পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্ব মূল্যস্ফীতি, ফেডের নজিরবিহীন সুদহার বৃদ্ধি, আমাদের রিজার্ভ পতন, ব্যক্তি বিনিয়োগ ও বিদেশি বিনিয়োগে ধীরগতি, টাকার মানের দ্রুত অবমূল্যায়ন, দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ আদায় পরিস্থিতি, পুঁজিপাচার এবং প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ব্যর্থতা, আলোচিত এসবই ছিল প্রাক্কলিত বাজেট ব্যয় বৃদ্ধির বড় বাধা।

কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত না হওয়ায় আশানুরূপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। এসব তথ্য-উপাত্ত এ বার্তাই দেয়, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত যে অপ্রতিহত গতিতে আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটছিল, তা শ্লথ হয়ে পড়েছে। বিবিএস, বাংলাদেশ ব্যাংক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর গত দুই বছরের তথ্যাদি সে বার্তাই দিচ্ছে। তার পরও বলব, অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়নি, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল না, মন্দা দেখা দেয়নি, তিন-চার মাসের আমদানির ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা হারায়নি, রপ্তানি ও প্রবাস আয় অর্জন ইতিবাচক, কৃষি খাতে মূল্য সংযোজনী বৈচিত্র্যায়ন অব্যাহত আছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো অবকাঠামোগত মেগাপ্রকল্প শেষ হওয়ায় আমাদের প্রবৃদ্ধির হারে প্রায় ৩ শতাংশ বাড়তি যুক্ত হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের রূপকল্প দলিলে (২০৪১) ২০৩১ ও ২০৪১ পর্যন্ত যে পথচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে, সেটি এখনো অর্জন সম্ভব হবে কি? শক্ত চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিতে অবশ্যই আছে, তবে রূপকল্প দলিলের স্বপ্ন অর্জনের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। প্রয়োজন শুধু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সাহসী, স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারে পরিকল্পিত সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ, যা প্রস্তাবিত নতুন বাজেট বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই শুরু করা যায়। সেই অর্থে এবারের বাজেট কেবল নির্বাচিত নতুন সরকারের বাজেট নয়, অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও বিশ্ববাস্তবতায় রূপকল্প দলিলে অঙ্কিত পথচিত্রে জোর প্রত্যাবর্তনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ এই বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বর্ষে (২০২৪-২৫) সংশোধিত প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ ধরা হলেও বর্তমান বাজেটে প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। বাজেটের আকার এবার সীমিত, উন্নয়ন ব্যয় পুরোটা ব্যবহার করেও ব্যাংকিং খাতে আবশ্যকীয় সংস্কার ছাড়া প্রক্ষেপিত প্রবৃদ্ধির হার আগামী বছর ৭.৫ শতাংশ অর্জন কঠিন হবে প্রতীয়মান হয়। তবু এই বাজেটের মাধ্যমে অর্থনীতি কভিডপূর্ব প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাই হবে সর্বোত্তম লক্ষ্য।

বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠী ও অর্থনীতিবিদ বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে থাকে। বাস্তবতা হলো, বরাদ্দকৃত বাজেট দু-একটি মন্ত্রণালয় ছাড়া কেউ ব্যয় করতে সক্ষম হয় না। বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবির চেয়ে বরাদ্দ সবটা যাতে ব্যয় হয়, সেই দাবি হবে যৌক্তিক এবং প্রাসঙ্গিক। পত্রিকান্তরের খবর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাজেট বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে বাজেট বাস্তবায়িত হয়েছে ৩১ শতাংশ, গত ১৪ বছরে যা সর্বনিম্ন। এসব তথ্য থেকে বোঝা যায়, বাজেটের আকার বৃদ্ধির চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধির দক্ষতা বাড়ানো কত জরুরি। বাজেট বাস্তবায়নে বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয়গুলোর মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। মাসিক উন্নয়ন ব্যয় অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (আইএমইডি) পরিবীক্ষণ করবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আন্ত মন্ত্রণালয় তথ্য সমন্বয় ও বিশ্লেষণ করে অগ্রগতি প্রতি দুই মাস অন্তর একনেকে উপস্থাপন করবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও পরামর্শ গ্রহণ করবে, যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রস্তাবিত টাইম-লাইন অনুযায়ী সম্পন্ন হতে পারে। এতে সময়ক্ষেপণ ও অতিরিক্ত ব্যয় কমে আসবে। এটি হলে সংশোধিত বাজেট করার ব্যয় ও সময় অপচয় বন্ধ হবে। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের প্রধান সূচক হবে মাসভিত্তিক বাজেট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

বাজেটে ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম প্রতিবন্ধকতা নিম্ন কর-জিডিপি অনুপাত। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতম দিক এটি। ২০২২-এ আমাদের  কর বৃদ্ধির হার ছিল ১৬ শতাংশ, ২০২৩-এর জুনে বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৮৯ শতাংশ। আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত (২০২২-২৩) ছিল ৭.৪৭ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু নয়, বিশ্বেই সর্বনিম্ন। নিম্ন আয়ভুক্ত দেশগুলোর গড় ১৪ শতাংশ। আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ, আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত হওয়া আবশ্যক ১৫-১৬ শতাংশ। পুরো কর সংগ্রহ ব্যবস্থাকে দ্রুত সার্বিক ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনা জরুরি। ভ্যাট সংগ্রহে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস ২০১৫ থেকে পুরো চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কেন সেটি মাঝপথে থেমে গেল, কেন সেটি বাস্তবায়িত হলো না, জানা দরকার। 

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল। ভ্যাট সংস্কার ২০১২ আইন বাস্তবায়নে যেতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) কর সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়ে, করহার ও করনীতি নির্ধারণের দায়িত্ব অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে ন্যস্ত করা যায়। কর ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণে কর রাজস্বে আয়করের অংশ তিন ভাগের এক ভাগ থেকে প্রথম পর্যায়ে অন্তত ৫০ শতাংশে উন্নীত করার করনীতি গৃহীত হওয়া আবশ্যক (২০১০-২০১৯ সময়ে বাংলাদেশে ধনীর সংখ্যা বেড়েছে ১৪.৩ শতাংশ হারে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় চার গুণ)। কর অব্যাহতি বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে  কমিয়ে আনা আবশ্যক। রপ্তানি কর/ট্যারিফ কমিয়ে আনা প্রয়োজন। উৎপাদন যন্ত্রপাতি, উৎপাদন উপকরণ আমদানি পুরো উন্মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। 

লেখক : অর্থনীতিবিদ, সাবেক পরিকল্পনা কমিশন সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত