সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ছাত্রী হাজেরা খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সৎমা রুবি খাতুন (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রায় ৮ বছর আগে ওই উপজেলার কুটিরচর গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী পরকীয়ার ঘটনায় অন্যজনের হাত ধরে চলে যায়। প্রায় দেড় বছর পর হাজেরার বাবা একই এলাকার মুগবেলাই গ্রামের রবিউলের মেয়ে রুবিকে বিয়ে করে এবং রুবিরও দুটি জমজ ছেলে রয়েছে। সৎ মা মাঝেমধ্যেই নানা রকম নির্যাতন করতো ১ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী হাজেরাকে (৭)। এ নিয়ে তার স্বামী আব্দুর রশিদ তাকেও নির্যাতন করতো।
এরই জের ধরে রোববার বিকেলে সৎ মা শিশু হাজেরাকে ঘরে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং তার হাত পা ভেঙ্গে বস্তায় ভর্তি করে বালতির ভেতর খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও হাজেরা স্কুল থেকে ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করে তাকে পায়নি। এ সময় তার ওই জমজ ২ শিশু ঘরে যেতেও ভয় পায়। তাদের এ ভয়ের কথা শুনে পরিবারের লোকজন নিজ ঘরে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
একপর্যায়ে ঘরের খাটের নিচে একটি বালতির ভিতর বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়। এ সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দয়ের করা হয়েছে।
সোমবার ভোর রাতে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইনের নেতৃত্বে এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৎ মা রুবিকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় এ হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।