নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চাঁদা তুলতে গিয়ে ৫ হিজড়াকে আটক করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। চাঁদা না দেওয়ায় হিজরাদের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গৃহবধু আছিয়া বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে জুরাইল গ্রামে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে জুরাইল গ্রাম থেকে সাব ইন্সপেক্টর মাহমুদুল হাসান তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কেন্দুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনামুল হক পিপিএম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হিজরাদের নাম ঠিকনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরা একেকসময় একেক নাম বলতেছে। ওদের আইডি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আইডি কার্ড নিয়ে আসলে পুরো ঠিকানা জানা যাবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে হিজরারা নওপাড়া ইউনিয়নে জুরাইল গ্রামে চাঁদা তুলতে গিয়ে এক পর্যায়ে স্থানীয় সেলিম মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক শিশুকে কোলে নিয়ে টাকা দাবি করছিল। তখন টাকা না দেওয়ায় একপর্যায়ে হিজরারা শিশু আফরিদ (৬ মাস) নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেচড়া শুরু করলে চিৎকার শুনে শিশুটির মা দৌড়ে এসে শিশুটিকে বাঁচাতে চাইলে অন্য আরেক হিজড়া তাকে আঘাত করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী হিজরাদেরকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়।
আহত আছিয়া বেগমকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে সেলিম মিয়া বলেন, আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না। আমার মেয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। তার ছেলেকে নিয়ে আমার ছোট মেয়ে বারান্দায় বসে খেলা করছিল। এসময় হিজরারা এসে টাকা দাবি করলে সে বললো- আমার কাছে টাকা নেই, আপনারা ধান নিয়ে যান, তখন তারা ধান না নিয়ে আমার নাতিকে নিয়ে টানাহেচরা শুরু করলে শিশুটির মা এসে তাকে বাঁচাতে চাইলে হিজরারা তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে।