শপথের আগেই সংবাদকর্মীদের হুমকি দিলেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানা। এটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে শনিবার রাতে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে।
এ ঘটনার আগে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ওই চেয়ারম্যানকে ঘিরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি ছিল সহানুভূতির ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন রিয়াদ আরফান সরকার রানা। এই সংবাদটি ২৪ মে শুক্রবার প্রকাশিত হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার রাতে এই চেয়ারম্যান সৈয়দপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে আসেন। তার সঙ্গে দেখা হয় ওই জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি আমিরুল হক আরমানের সঙ্গে। এ সময় চেয়ারম্যান রানা ওই সংবাদ কর্মী কে, সংবাদে শব্দচয়নের বিষয়ে সাবধান হতে বলেন। আর হুমকি দিয়ে বলেন বি কেয়ারফুল। চেয়ারম্যানের ঔদ্ধত্যপূর্ণ এমন কথার প্রতিবাদ করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। স্থানীয় সাংবাদিকরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। গতকাল রবিবার দুপুরে ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানার সঙ্গে।
তিনি বলেন আমি এখন ইউএনও’র সঙ্গে মিটিংয়ে আছি। আমি এখন কোন কথা বলতে পারবো না। এটা বুঝতে হবে। সংবাদকর্মীদের হুমকি দেয়ার বিষয়ে সৈয়দপুর সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মোত্তালেব হোসেন হক ও সদস্য সচিব
নুর মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান রতন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ওই চেয়ারম্যানের হুমকির উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। এজন্য সৈয়দপুরে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি প্রয়োজনে রাজপথে নামবে।
উল্লেখ্য যে, রিয়াদ আরফান সরকার রানা কৈশোরকাল থেকে প্রবাস জীবন কাটিয়ে আসছিলেন। কয়েক বছর হলো দেশে ফিরেছেন। ছিলো না তার অতীত রাজনৈতিক কোনো কর্মকান্ড। বাবার পরিচয়ে তিনি পরিচিত।
তার বাবা মরহুম আমজাদ হোসেন সরকার বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। তার ছিলো বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তিনি ছিলেন বিএনপির এমপি, চারবারের পৌর মেয়র ও একবার নির্বাচিত হয়েছিলেন উপজেলা চেয়য়ারম্যানও। সেই সুবাদে ছিলো তার ব্যাপক পরিচিতি। শুভানুধ্যায়ীর সংখ্যা তার হাজার হাজার। মরহুম বাবার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে রানাও দ্বিতীয় দফার উপজেলা চেয়ারম্যানের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় সহানুভূতির ভোটের কথা।