চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পরকীয়া প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পৌরসভার গোবিন্দপুর গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত রেশমা খাতুন (২৭) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার দৌলতদিয়াড় গ্রামের শিমুল সর্দ্দারের স্ত্রী ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।
রেশমার স্বজনরা জানায়, প্রায় ১৪ বছর আগে রেশমা খাতুনের সঙ্গে শিমুলের বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী এবং মেয়েকে বাড়িতে রেখে শিমুল সর্দ্দার প্রায় ৭ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
এরমধ্যে আলমডাঙ্গার বামানগর গ্রামের সবুর নামের এক যুবকের সঙ্গে রেশমার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক চলতে থাকে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আলমডাঙ্গায় বাসাও ভাড়া নেয় রেশমা। সম্পর্ক গভীর হলে রেশমা তার স্বামীর পাঠানো টাকায় প্রেমিক সবুরকে সৌদিতে পাঠায়। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে সৌদি থেকে দেশে ফিরে ক্যামেরা কেনার জন্য টাকা চায় রেশমার কাছে। এ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় তাদের।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে সবুরের সঙ্গে রেশমার ভিডিও কলে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস নেয় রেশমা।
পরে সবুর দ্রুত রেশমার বাড়ির পাঁচতলায় উঠে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির ছাদে উঠে বারান্দার গ্রীল ভেঙে ভেতরে ঢুকে গলার ফাঁস কেটে রেশমাকে নিচে নামায়। এরপর রেশমার মরদেহ ঘরে রেখেই সবুর পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আত্মহত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক। মরদেহ ময়নাতদন্ত করলেই সবকিছু বোঝা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।