সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর সরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে উপাচার্য অফিসের দিকে যান।
আজ দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-ঢাকা কলেজ-সাইন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা; হাইকোর্টেও রায়, মানিনা মানিনা; ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাবিত্তিক বাংলাদেশ' ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগ মোড় উত্তপ্ত করে তোলেন তারা।
শাহবাগ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, যখনই প্রয়োজন হয়েছেবাং লাদেশকে পথ দেখিয়েছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাবীদের নিয়েই গড়তে হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এই কোটা প্রথার কোন প্রয়োজন নাই। কোটা প্রথা পুনর্বহাল সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন।
বিকেলে শাহবাগ মোড়ে বসে স্লোগান দিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীদের। তাদের অবস্থানের কারণে শাগবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সাইন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ জনগণকে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা যায়। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে দেয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় সরকার।
সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ছাত্ররা কোটা ব্যবস্থা চায় না। তারা আন্দোলন করেছে। ফলে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আর আলোচনা করার বা হা-হুতাশ করার কিছু নেই।
২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে কেন ওই ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ওই রুলের বিষয়ে শুনানি শেষে গেল ৫ জুন হাইকোর্ট রায় দেন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ।