ঢাকায় বিএনপি-জামাতের সহিংসতায় নিহত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নীলফামারীর সন্তান সবুজ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আরাজি দলুয়া গ্রামে জানাযা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয় তার।
তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি ও নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ্য থেকে।
জানাযায় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর, সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন ও আবুল কালাম আজাদ, নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
এরআগে ঢাকা থেকে ভোরে সবুজের মরদেহ পৌঁছে তার বাড়িতে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন জানান, হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বলেন, বিএনপি-জামাত পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ কর্মী সবুজকে হত্যা করেছে। নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর বলেন, সবুজের পরিবারের পাশে থাকবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। স্বপ্ন নিয়ে দরিদ্র পরিবারের সন্তান সবুজ ঢাকা পড়াশোনা করছিলেন কিন্তু তাকে হত্যা করে স্বপ্নের মৃত্যু ঘটিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী নীলফামারীর বাসিন্দা সবুজ আলী কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামাতের সহিংসতার মারা যান।
সবুজ চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আরাজি দলুয়া গ্রামের বাহারাম বাদশার দ্বিতীয় ছেলে।