সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি রাসেল পারভেজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা ও বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবর্ষণ, গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও পৌর কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, উপজেলার চররূপপুরের তানভীর হাসান সুমন নিয়ন্ত্রিত দুই পক্ষের দ্বন্দে সচীন বিশ্বাস নামে একজন মারা যায়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তানভীর হাসান সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাসেল পারভেজসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাসেল পারভেজসহ মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত পরিবারের সদস্য ও এলাকার নারী-পুরুষ মিছিল বের করলে সুমনের নেতৃত্বে মিছিলকারীদের উপর ১৫-২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। এ সময় পথচারীসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন এবং এক অটোরিকশা চালককে তারা পিটিয়ে আহত করে দুটি মোটরসাইকেল জ্বলিয়ে দেয়।
মেহেদী হাসান আরও বলেন, হামলাকারীরা ডাকাত, এরা র্যাবের পোষাক পড়ে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। ইতিপূর্বে রূপপুরে কড়ইতলায় শাজাহান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। অথচ এই চক্রটিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান সহযোগিতা করছেন।
জানা যায়, তানভীর হাসান ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দের জেরে ৬ আগস্ট সচীন বিশ্বাস নামে এক ছাত্রদল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ হত্যার ঘটনায় সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাসেল পারভেজসহ ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক অভিহিত করে বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তানভীর হাসানের বিরুদ্ধে মিছিলে গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠে। এই হামলা, মামলার প্রতিবাদে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক এস এম ফজলুর রহমান, বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, বিষ্টু কুমার সরকার, যুবদল নেতা একেএম সাজেদুজ্জামান জিতু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এস এম মামুনুর রশিদ নান্টু, মাহামুদুর রহমান জুয়েলসহ নেতাকর্মীরা।