গলাচিপায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোটরসাইকেলচালক বাহাদূর হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত ৩টার দিকে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার সোমবাড়িয়া বাজারে। এই ঘটনায় গত বুধবার শিক্ষার্থীর মামা গলাচিপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বাহাদূর পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণ এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জন্ম থেকেই বাবা নিরুদ্দেশ থাকায় সে তার মামাবাড়িতেই বসবাস করে আসছিল এবং সামাজিকভাবে কিছুটা অসহায় ছিল। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বাহাদূর হাওলাদার তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো শুরু করে এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বাহাদূর বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে শিক্ষার্থী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে উঠানে বের হয়। সে সময় আগে থেকে লুকিয়ে থাকা বাহাদূর কৌশলে তাকে বাড়ির কাছে সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার সোমবাড়িয়া বাজারে তার বড় ভাই বাদশার টেইলারিং দোকানের পেছনের ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধস্তাধস্তি এবং ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এলে বাহাদূর দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীর এই ঘটনায় গলাচিপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ঘটনার একমাত্র আসামি বাহাদূরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।”