নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেনের হুমকিতে অসুস্থ্ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্থানীয় বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুন নাহার সিমা।
সোমবার সকালে অধ্যক্ষ সীমা কলেজে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অধ্যক্ষ শামসুন নাহার সিমা জানান, গত কয়েকদিন থেকেই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন তাকে ফোন করছেন এবং তার কলেজের পরিচালনা কমিটিতে তার দেয়া ব্যাক্তিগণকে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। সেই সাথে তার সাথে দেখা করারো জন্য নির্দেশ দিয়ে আসছিলেন।
এছাড়া মোশাররফ হোসেন তার প্রতিষ্ঠানে রেজাউল নামের এক ব্যাক্তিকেও পাঠান। পরে ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলার মালঞ্চি বাজার রেল গেট এলাকায় মোশাররফের অফিসে ওই অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠান। পরে ওই দিন দুপুরে অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেনের অফিসে গেলে তিনি কড়া ভাষায় তাকে তার প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বের সকল হিসাব নিকাশ দাখিল করতে বলেন। এবং আপাতত তার লোক রেজাউলকে প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটিতে রাখার জন্য নির্দেশ দেন।
আর পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তার সাথে আলোচনা করে তার মনোনিত লোক দিয়ে কমিটি করার নির্দেশ দেন। সে সময় মোশাররফ ওই অধ্যক্ষকে আরো নির্দেশ দেন কমিটিতে রেজাউল নামে থাকবে তবে সব বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করতে হবে। ক্রমাগত মানষিক প্রেসারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রেজাউল করিম জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় শামসুন নাহার সিমাকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অবস্থার উন্নতি না হলে সীমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তবে ওই অধ্যক্ষ তার অফিসে গিয়েছিলেন এটা নিশ্চিত করে এই নেতা আরো বলেন তার সাথে কোন খারপ ব্যবহার করা হয়নি।