বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা আহ্বায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন ছাত্রনেতা রাশেদ খান। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার আহ্বায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন শেষ করছি। সংগঠনকে এগিয়ে নিতে নিজের শ্রম, মেধা, সময় ও অর্থ ব্যয় করেছি। কতটুকু পেরেছি, তা বিচার করার দায়িত্ব আপনাদের। তবে নিজের বিচারে মনে করি, আরও ভালো কিছু হওয়া উচিত ছিল।”
তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে তিনি একজন শিল্পী এবং দীর্ঘদিন পেশাগত কোনো কর্মে যুক্ত না থাকায় বর্তমানে অর্থকষ্টে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব “অর্থ বিষয়ক মুখরোচক গল্প” ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দায়িত্ব নেওয়ারও আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে রাশেদ খান স্পষ্ট করে বলেন, “আমি জুলাই বিক্রি করিনি।” সংগঠনটির লিখিত কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ না থাকলেও তার নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে, যা হয়তো সবার সঙ্গে মেলে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো নির্দেশনা না থাকায় সারা দেশে সংগঠনটি স্তিমিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইউনিটগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই কেন্দ্রীয় নেতাদের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়।”
এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি, যুবশক্তি ও বাগছাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া এবং এনসিপি প্রভাবিত "প্রহসনমূলক নির্বাচন" নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে সবকিছুর পরও সংগঠনের প্রতি তার শুভকামনা থাকবে বলে জানান রাশেদ খান। বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল।”
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন রাতে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রাশেদ খানের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি।