পেরুর সাবেক প্রেসেডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত ছিলেন ফুজিমোরি।
বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, আলবার্তো ফুজিমোরি ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়ে কেইকো ফুজিমোরি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে’ সাবেক এই প্রেসিডেন্ট মারা গেছেন।
তিনি লিখেন, ‘তার আত্মার শান্তির জন্য যারা তাকে ভালোবাসেন তারা প্রার্থনা করতে পারেন। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ বাবা।’
আলবার্তো ফুজিমোরি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের পর্যন্ত পেরুর শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। তবে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে একপর্যায়ে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
ফুজিমোরি একজন সাবেক কৃষি প্রকৌশলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পেরুর ১৯৯০ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরবর্তী রান-অফ ভোটে পরাজিত করার আগে প্রতিষ্ঠার প্রিয় মারিও ভার্গাস লোসার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে অস্পষ্টতা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বামপন্থি গেরিলা বিদ্রোহ দমনে ফুজিমোরির কঠোর অবস্থানের জন্য তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পেরুতে প্রত্যর্পণ করা হয়। এরপর ফুজিমোরি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তখন থেকেই প্রায় ১৬ বছর কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ৯০-এর দশকের শুরুর দিকে দুটি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন আলবার্তো ফুজিমোরি। ১৫ বছরেরও বেশি সময় বন্দি থাকার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে সাধারণ ক্ষমা করলে গত বছরের ডিসেম্বরে লিমার বারবাডিলো কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।