২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারী “আগুন খাওয়া টিম” গঠন করে চাঁদা বাজি, সন্ত্রাসী, লুটতরাজ, হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, ফেরদৌস পারভেজ, এইচ.এম ফিরোজ সরকার, মোঃ আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি, লুৎফর রহমান, সাইয়েম কাদির সরকার (কানন), মোঃ সারোয়ার জামান সোহাগ, শ্রী সচিন বাবু, শ্রীরাম সহ মোট ৭৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জন কে আসামী করে ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আমলী আদালাতের বিচারক মোঃ আশিকুর রহমান এর আদালতে মোঃ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আমলী আদালাত ডিমলা-৬ এর বিচারক মোঃ আশিকুর রহমান ডিমলা থানাকে এফ আই আর হিসাবে নেয়ার নিদের্শ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম।
মামলা এজাহারে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারী নীলফামারী-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার এর নিদের্শে ডিমলায় গঠন করা হয় “আগুন খাওয়া টিম” নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি করে ডিমলা ও ডোমার উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদা বাজি শুরু করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক এর সভায় তিস্তা খনন প্রকল্প অনুমোদন পেলে “আগুন খাওয়া টিম” তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের জমি দখল করে অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করত, এসময় এলাকা বাসী বাধা দিলে তাদের ডিমলা কেয়ার বাজারে অবস্থিত ছাত্রলীগ অফিসে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। “আগুন খাওয়া টিম” সরসরি তৎকালীন সংসদ সদস্যর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিদের্শে চলত বলে সাধারণ জনগনকে চাঁদা দিতে বাধ্য করানো হত।