ছাত্রাবাসে চাহিদা অনুযায়ী তালিকার ভিত্তিতে সিট না দেওয়ায় ডেকে এনে ঢাকা কলেজ অধ্যাপক ও ছাত্রাবাস তত্ত্বাবধায়ককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক মেসকাত হোসেন তনয় এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক সজীব বিশ্বাসের সব সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়।
হেনস্তার শিকার ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ। তিনি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক এবং দক্ষিণ ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কলেজের শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে কলেজ শাখা ছাত্রদলের কিছু পদধারী নেতারা শিক্ষকের ওপর চড়াও হচ্ছেন। তারা বারবার শিক্ষকের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন এবং হাত ধরে টানাটানি করছেন।
এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চাইলে কয়েকজনকে তেড়ে যেতেও দেখা গেছে। আর এসব ঘটনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সিরাজ উদ্দিন বাবু ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন জেমিন।
বিষয়টি শিকার করে সাজ্জাদ হোসেন জেমিন বলেন, আমি ক্যান্ডিডেট (প্রার্থী)। আমার অনুসারী বেশি। তাই আমার বিরুদ্ধে একদল ষড়যন্ত্র করছে। আমি ছোট ভাইদের জন্য সিট চেয়েছি। কিন্তু শিক্ষকরা খুবই সামান্য সিট দিয়েছে। হলে সিট দেওয়ার আগে কথিত সমন্বয়ক কিংবা শিক্ষকদের পক্ষে থেকে আমাদের (ছাত্রদল) কাছে জিজ্ঞেস করেনি।
ভিডিও ফুটেজে আরও দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সহ-সাধারণ সম্পাদক মেসকাত হোসেন তনয়, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সহ-সাধারণ সম্পাদক সজীব বিশ্বাসও মারমুখী আচরণ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ বলেন, তারা (ছাত্রদল নেতারা) আমাকে একটি লিস্ট দিয়ে বলেছে, এই লিস্টে যারা আছে তাদের সিট দিতে হবে। তবে আমি বলেছি, সিট দেওয়ার আমি কেউ না। যদি সিট থেকেই থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট বিভাগ সুপারিশ করবে। ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের বিষয়টি কলেজ প্রশাসন সমন্বয় করছে। তখন তারা (ছাত্রদল) সেখানে হট্টগোল শুরু করে। পরে আমি সে স্থান থেকে চলে আসি।