বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ২০২৫ ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ২০২৫
বিদ্যালয়ে না এসেও অলৌকিক স্বাক্ষর করে বেতন তুলেন দপ্তরি
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:০৯ PM
নেছারাবাদে বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় অলৌকিক স্বাক্ষর দিয়ে বেতন তুলে নিচ্ছেন ৩৩নং পশ্চিম অলংকারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো: সুমন মিয়া। 

তিনি দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরি নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে ছিলেন অনিয়মিত। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খি সহ কেহ কিছু জানতে চাইলে নির্যাতনের শিকাড় হয়েছেন তিনি। সুমন মিয়া স্থানীয় যুবলীগ নেতা। 

যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাদাবাজি সহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে কারনে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে ভয়ে বিদ্যালয়ে না এসেও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছেন তিনি। আর এ কাজে তাকে সাহয্য করার অভিযোগ রয়েছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা নার্গিসের বিরুদ্ধে।

তবে দপ্তরি সুমনকে সাহয্য করার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন সুমন বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যায়। স্বাক্ষরে তাকে কোন সাহয্য করিনি। তবে রাজনৈতিক কারনে সুমনের একটু সমস্যার মধ্যে আছে।

বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা মো: সাইফুল ইসলাম ফরাজি অভিযোগ করে বলেন, সুমন যুবলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে এই স্কুলের দপ্তরির চাকরি নিয়েছিল। চাকরি নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে ছিল অনিয়মিত। মাসে তিন থেকে চার দিন বিদ্যালয়ে এসে পুরো মাসের স্বাক্ষর করত খাতায়। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে হুমকি ধামকি দিতো সুমন। 

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সে বিদ্যালয়ে আসেনা। বিদ্যালয়ে না আসলেও হাজির খাতায় স্বাক্ষর থাকে তার। সুমনের সকল অপকর্মে সাপোর্ট দেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা নার্গিস।

বিদ্যালয় এলাকার মো: নাসির নামে অপর এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, সুমন মুলত রাজনৈতিক শক্তিতে এলাকার অনেক যোগ্য লোক থাকতেও বিদ্যালয়ে দপ্তরির চাকরি নিয়েছেন। সে এখানে দপ্তরির পদে চাকরি নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে ঠিকনত আসতনা। তিনি এলাকার একজন চিহ্নিত চাদাবাজ।

আওয়ামীলীগ আমলে পুলিশের গনগ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে চাদা নিয়েছে। যে ব্যক্তি তাকে চাদা দেয়নি তাকে নানাভাবে হয়রানি করেছে। তাই ৫ আগস্টের পর থেকে তার কৃতকর্মের ভয়ে বিদ্যালয়ে আসেনা। বিদ্যালয়ে না এসেও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নাহিদা আফরোজ বলেন, রাজনৈতিক কারনে গত ৫ আগষ্টের পর সুমন বিদ্যালয়ে আসেনা। তবে হাজিরা খাতায় কিভাবে স্বাক্ষর করে তা প্রধান শিক্ষিকা ভাল বলতে পারবেন। একই কথা বলেন নাম না প্রকাশ গর্তে বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারি শিক্ষিকা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দপ্তরি সুমন বলেন, আমি স্থানীয় আওয়ামীগের রাজনীতি করি। তাই আমাকে বিএনপির কিছু লোক বিদ্যালয়ে আসতে দিচ্ছেনা। তারা আমার কাছে চাদা দাবি করছে। আমি বিদ্যালয়ে এসে স্বাক্ষর দিয়ে চলে যাই। আমার স্বাক্ষর কেউ দেয়না।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত