লটারির মাধ্যমে নীলফামারী পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে নয়জন ডিলার নির্বাচন করা হয়েছে। খোলা বাজারে (ওএমএস) এর মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিক্রি করবেন নির্বাচিতরা।
বুধবার বিকেলে (২ জুলাই) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে।
নির্বাচিতরা হলেন আনিসুর রহমান (১নং ওয়ার্ড), মাহাদিয়া আমিন (২নং ওয়ার্ড), শাফিউল ইসলাম সাগর (৩নং ওয়ার্ড), আবু তাহের (৪নং ওয়ার্ড), পায়েলুজ্জামান রকসি (৫নং ওয়ার্ড), ময়নুল ইসলাম (৬নং ওয়ার্ড), আসাজাদ দৌলা ডলার (৭নং ওয়ার্ড), রুহিত রহমান রুদ্র (৮নং ওয়ার্ড) ও শাকিল আহমেদ (৯নং ওয়ার্ড)।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিলার নির্বাচন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরর উপ-পরিচালক আবু বকর মো. সাইফুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, নীলফামারী পৌর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলম উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, নীলফামারী পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে নয়জন ডিলারের জন্য ১৭০জন আবেদন করেন। যাচাই বাছাই শেষে ১০৭জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
লটারির মাধ্যমে নয়টি ওয়ার্ডে নয়জনকে নির্বাচন করা হয়। আগামী সোমবার থেকে তারা খাদ্যশস্য বিক্রি শুরু করবেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার জানান, গেল ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকেরা ওএমএস’র মাধ্যমে লুটেপুটে খেয়েছে। তাদের অধ্যায় শেষ হলো। জনসম্মুখে লটারির মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন পদ্ধতি স্বচ্ছতা তৈরি করেছে।