কক্সবাজারের উখিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ৩০ ই সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা হল রুমে তানভীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলার ০৮ টি দূর্গা মন্দিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের পূজা উদযাপনে সরকারি নিদের্শনা তুলে ধরেন। যাতে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অত্যান্ত শান্তিপূর্ন ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পূজা পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি শ্রী স্বপন শর্মা রনি, এম.ইউ.পি ও সাধারণ সম্পাদক
শ্রী মাষ্টার রূপন দেওয়ানজী বলেন এই বছর উখিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট ০৮ টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
ইতি মধ্যেই মন্দির কমিটির লোকজন মা দূর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলো সাজিয়ে তুলছেন এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন। আশা করি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষ উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি শ্রী স্বপন শর্মা রনি,সাধারণ সম্পাদক শ্রী মাষ্টার রূপন দেওয়ানজী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উখিয়ার ০৮ টি মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইউএনও মহোদয় যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও জাঁকজমক পূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ থাকবে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন,উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসন, দুর্গাপূজা কমিটি, রাজনৈতিক নেতৃত্ব,বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব সাংবাদিক সহ প্রমূখ
এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সার্বক্ষণিক ভাবে দেখাশুনা করবে, থাকবে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা নজরদারিও। পাশাপাশি সীমান্তঘেষা মন্দির গুলোতে থাকবে বিজিবির সদস্যরা। পূজা চলাকালীন সময়ে কোন ধরণের গুজবে কান দেবেন না। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবাই সজাগ থাকবে। এর পরেও যদি কোন ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা মনে করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গণে দেওয়া প্রশাসনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে দ্রুত জানার আহবান জানান।