দুর্বৃত্তরা রাস্তা থেকে পাথর ছুড়ে বাহিরের ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও গ্লাস ভাংচুর করে। তবে এ হামলায় কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে আটটি মোটরসাইকেলে করে ১৬-১৭ জন দুর্বৃত্ত প্রথম আলো অফিসের সম্মুখে আসে। এ সময় দুটি ব্যাগে পাথর নিয়ে এসে দুর্বৃত্তরা বাহির থেকে তা ছুড়তে থাকে। এরপর ১০টা ৩৫ মিনিটে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রথম আলো বগুড়া অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আনোয়ার পারভেজ জানান, ঢাকা অফিসে হামলার চেষ্টা হয়েছে, এরপর চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহী কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। এই হামলার বিষয়ে আমরা আগে থেকেই ভয়ে ছিলাম। বিষয়টি জেলা পুলিশ বিভাগকে জানানো হয়েছিল তারা যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তিনি আরও জানান, সদর থানার ওসির সাথেও এ বিষয়ে কথা হয়। সে সময় ওসি জানিয়েছিলেন থানা থেকে একটু দূরে সেখানে হামলা হলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে। তাই নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানান। সেই কারণে রাত ৯ টার দিকে কার্যালয় থেকে তারা বাড়ি চলে যান।
সোমবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডোনিস তালুকদার বাবু তাকে মুঠোফোনে অফিসে হামলার খবর জানান। খবর পাওয়ার সাথে সাথে অফিসে এসে দেখতে পান, পাথর ছুঁড়ে অফিসের ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও সামনের মোটা গ্লাসের দেয়াল ভাঙচুর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হামলার সময় আমরা অফিসে কেউ ছিলাম না। থাকলে হয়তো আক্রান্ত হতে পারতাম। আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। ঢাকা অফিসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে, আগামীতে অফিশিয়ালি যে সিদ্ধান্ত হবে আমরা সেটাই করব।