নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজা চট্টগ্রাম আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত চত্বরে জানাজাটি অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজার আগে আইনজীবী নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রথম জানাজার পর, সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নেয়া হয়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা দেখেছি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে কাদের মন সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছিল। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট দেখেছি, যখন এই বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ হওয়ার কথা ছিল, তখন কীভাবে আমাদের এই মাদ্রাসার ভাইয়েরা ওই মন্দিরে গিয়ে পাহারা দিয়েছে।
“কীভাবে ৫ অগাস্ট রাতে সারারাত ওই মন্দির পাহারা দিয়ে সকালে ফজরের নামাজ তার সামনে রাস্তায় পড়েছে। সেখানে এই সহানুভূতিকে কেউ যদি প্রশয় হিসেবে দেখে, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নয়, নাগরিক কমিটি নয়, পুরো বাংলাদেশ একসাথে এই সকল উগ্রপন্থিদের প্রতিহত করবে।”
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত হন।