ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকার পতনের পর থেকে দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা ইপিজেডগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গ্রিন রোডে বেপজা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়। অনুষ্ঠানে বেপজার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদস্য (অর্থ) আশরাফুল কবির।
সংবাদ সম্মেলনে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, দেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ আর পানির সংকট এখনো রয়ে গেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। তবে শুধু বাংলাদেশেই নয়, এই সময়ে সারা বিশ্বেই বিনিয়োগ কমেছে। করোনার পর রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বেপজার আটটি ইপিজেড এবং একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা, মোংলা, কুমিল্লা, উত্তরা, ঈশ্বরদী, কর্ণফুলী ও আদমজী ইপিজেডের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রয়েছে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ ছাড়া নতুন তিনটি এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের কাজ চলছে।
এসময় জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ইপিজেডে বিনিয়োগ হয়েছিল ১৬২ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৬ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পটপরিবর্তন ছাড়াও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্যও বিনিয়োগ কমেছে। তবে, বিনিয়োগ কমলেও এই সময়ে ইপিজেড থেকে রপ্তানি বেড়েছে ২২ দশমিক চার এক শতাংশ।