কওমী উদ্যোক্তা সম্মেলনে নারী সাংবাদিককে প্রবেশে বাধা দেয়ার ঘটনা তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘটিয়েছে কি না, এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুকে ওই নারী সাংবাদিকের পোস্টকে নিছক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক প্রোগ্রাম নারী সাংবাদিকরা কাভার করেছেন। গতকাল কওমি উদ্যোক্তা ফোরামের প্রোগ্রাম ছিল, সেখানে ছিলাম মাত্র এক ঘণ্টা। আমি এই সময়ে জানতেও পারিনি সেখানে নারী সাংবাদিক প্রবেশ নিয়ে সমস্যা হয়েছে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, রাতে জানার পর আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে তাদের অজ্ঞাতে এ ধরনের ঘটেছে। বলেছে, সেখানে একজন নারী টিভি সাংবাদিক তো গিয়েছিলেন, তার তো কোনো সমস্যা হয়নি। তাহলে তৃতীয় কোনো পক্ষ করেছে কি না সন্দেহ হচ্ছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কওমি উদ্যোক্তা সম্মেলনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নারী হওয়ার কারণে প্রবেশ করতে পারেননি, এমন অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমি জান্নাত নামে এক সাংবাদিক। জানা গেছে, এমি জান্নাত বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র প্রতিবেদক।
ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক এমি জান্নাত জানান, অফিস থেকে দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে বুধবার বিকেল তিনটায় চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যান তিনি। গেট দিয়ে ঢোকার সময় গার্ডরা বলে- আপনি তো ঢুকতে পারবেন না। কওমীদের প্রোগাম, উনারা মানা করছে। ভলান্টিয়ার আছে, তাদের সাথে কথা বলেন ওরা যেতে দেয় কিনা।
অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে চেয়ে আরও ২০ মিনিট অপেক্ষার পর নিরাপত্তা প্রহরীরা ভেতর থেকে জেনে এসে সাংবাদিক জান্নাতকে জানান, মেয়েদের ভেতরে যেতে দেয়া হবে না।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমির পোস্টের সমালোচনা করে বলা হয়, কওমি উদ্যোক্তা সম্মেলনে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে এ ঘটনার জন্য অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিকে দায়ী করাটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য নয়।