পটুয়াখালী আদালতের সামনে থেকে সোহাগ মিয়া (৪৫) নামের এক আসামিকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে।
আহত সোহাগকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সোহাগের বড় ভাই নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া দাবি করেন, পুরোনো একটি মামলায় কলাপাড়া থেকে ১০ থেকে ১২ জন পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে যান। ওই সব আসামীদের মধ্যে তার ছোট ভাই সোহাগ মিয়াও ছিলেন। দুপুরের দিকে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত চত্বরে কে বা কারা তার ভাইকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নেওয়ার পরেও চোখ বেঁধে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত এবং দুই হাঁটুতে হাতুড়িপেটা করা হয়। এরপর একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সোহাগ আমতলী পৌঁছালে তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়।
মামলার আইনজীবী শংকর লাল জানান, কলাপাড়া উপজেলার একটি রাজনৈতিক মামলায় একাধিক আসামি গত ২৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে ছয় সপ্তাহের মধ্য নিম্ন আদালতে হাজির হতে বলেন। সেই নির্দেশে আসামিরা বুধবার পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে পটুয়াখালীতে আসেন এবং দুপুরে আদালতে উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, মামলার আইনজীবী হিসেবে আমি তখন এজলাসে উপস্থিত ছিলাম। জজ কোর্টের সামনে ঝামেলার ঘটনা শুনেছি, কিন্তু বিস্তারিত জানি না।
কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স কবির হোসেন বলেন, বিকালে সোহাগ মিয়া নামের হামলার শিকার এক ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জের গামরতলা গ্রামে। তার দুই হাঁটুতে মারাত্মক আঘাত রয়েছে। ডাক্তার তানজিলা হাসিল তুষা রোগীর চিকিৎসা করেছেন। তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।