গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) জোহর নামাজের পর থেকে 'ঈশ্বরদীর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল' কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে ঈশ্বরদীর শত শত মুসল্লী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল চলে।
জোহর নামাজের পর শত শত মুসুল্লি খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে শহরের স্টেশন সড়কে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জড়ো হয়। সেখান থেকে বের হয় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ফিলিস্তিনি পতাকা। তারা শ্লোগান দেন ’ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই, ইসরায়েলের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি। মিছিলটি শহরের প্রধান জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে স্টেশন সড়ক দিয়ে শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে উত্তাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এতে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা গোলাম রব্বানী খান জুবায়ের, ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজম খান, ওলামা পরিষদ উপজেলা কমিটির সেক্রেটারি মুফতি রায়হান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ওলিউল্লাহ, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন, পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি প্রমুখ।
যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই- স্লোগানে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। সোমবার সকাল থেকে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সরকারি এস এম স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সমাবেত হয়। পরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ঈশ্বরদী বালিকা বিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে ইন্সিটিউটের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় বক্তব্য রাখেন হিউম্যানিস্ট মুভমেন্ট নেইবারহুড ঈশ্বরদীর মাসুম পারভেজ কল্লোল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহিম মেহেরাব, তামিম হোসেন, সাজিদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, আমরা মুসলমান হিসেবে এ হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারি না। তারা কয়েক মাস ধরে নারী-শিশুসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিন নাগরিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে চলেছে। হামলা করে গাজা শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। তবে এর নির্মম পরিণতি ইসরায়েলকে একদিন ভোগ করতেই হবে।