নিষিদ্ধ সংগঠন আ. লীগের দোসর মোঃ জহুরুল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহী এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
এক সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের ফ্যাসিস্ট আ. লীগের প্রভাবশালী এমপি শিমুলের ঘনিষ্ঠজন তিনি। গত ৩০ শে জানুয়ারি রাজশাহীতে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদান করার পর থেকে আওয়ামী পন্থী ঠিকাদারদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে বিভিন্ন কাজের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট আ.লীগের রাজনীতির সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। নাটোরের কান্দি ভিটার বাড়ির পাশের মসজিদের ইমাম সাহেবসহ প্রতিবেশীরা তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যে শিমুল এমপির সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
রাজশাহীতে যোগদানের পর আ.লীগ পন্থী ঠিকাদারদের সহযোগিতা করেই চলেছেন। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের দুর্নীতি অনিয়মের কারণে কয়েকদিন আগে দুদকের একটি টিম অনুসন্ধান চালিয়ে মেনটেনেন্স বিল প্রদান ক্ষেত্রে ১% টাকা আদায় করিয়াছেন এবং নোয়া দেওয়ার নাম করে হাফ পার্সেন্ট টাকা আদায়ের জন্য ঠিকাদারকে ফোন করে চাপ দিচ্ছে। যাহা ইতিপূর্বে রাজশাহী এলজিইডিতে কখনই ঘটেনি।
প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম রাজশাহীতে যোগদান করার পর থেকে রাজশাহী উন্নয়ন কাজ বেহাল দশায় পড়েছে যা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন কাজ পরিদর্শন করে পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়াও তার দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরসিআইপি প্রকল্পের আওতায় রুস্তমপুর আড়ানী বাঘা রাস্তার ঠিকাদার নাটোরের ঘনিষ্ঠজন হাওয়াই রাস্তার কাজ খারাপ করিয়ে বেশি করে ব্যক্তির সুবিধা অর্জন করে চলেছেন। যার ফলে প্রকৌশলীকে রাজশাহী হতে অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে রাজশাহী এলজিইডির মান ক্ষুন্ন হবে এবং ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোন সময় তারা নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে পারে বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর চড়াও হয়ে উঠেন। প্রতিবেদককে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য বলেন। ম্যানেজ করার জন্য মোট অংকের টাকা দিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।