স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে খুলনার রূপসা উপজেলার পাঁচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ (৪৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রূপসা থানা পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর বয়সী ওই শিশুটি পাঁচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১৬ জুলাই বিদ্যালয়ে টিফিন চলাকালীন প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ এই জঘন্য কাণ্ড ঘটান। ঘটনার পর শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অপকর্মের গুঞ্জন শোনা গেলেও প্রভাব এবং ভয়ে কেউ সাহস করে মুখ খুলতে পারেনি। ফলে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অপ্রতিরোধ্য ছিল।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা রূপসা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখকে তার নিজ বাড়ি রূপসা থানার স্বল্প-বাহিরদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। থানা পুলিশ ইতিমধ্যেই আসামিকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
বর্তমানে ধর্ষণের শিকার শিশুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। তারা অবিলম্বে ইয়াহিয়া শেখ এর সর্বোচ্চ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস কেউ না পায়।