পল্লবীতে প্রেমের জেরে এক ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতরা হলেন- পাপ্পু ও তার স্ত্রী দোলন আক্তার দোলা (২৮)। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গাউস (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে খবর পেয়ে পল্লবী থানার মিরপুর-১১ নম্বরের বি ব্লকের ৩৫ নম্বর বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গাউস মিয়ার সঙ্গে দোলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দোলার বিয়ে হয়েছে, সেটি তিনি আগে জানতেন না। আজ সকালে গাউস মিয়া বিষয়টি জানতে পারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোলা ও তার স্বামীকে গাউস মিয়া কুপিয়ে হত্যা করেন।
পুলিশের পল্লবী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া বলেন, দোলনা আক্তার উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম করছেন। তিনি মিরপুর-১১ নম্বরে একটি ভবনের পাঁচতলায় ‘সাবলেট’ থাকতেন। তার স্বামী পাপ্পু বরগুনায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এ কারণে তিনি বরগুনাতে থাকতেন। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসাযাওয়া করতেন। দুই দিন আগে তিনি বরগুনা থেকে ঢাকায় আসেন।
দোলার পরকীয়া প্রেমিক (খুনি) গাউস মিয়া
খুনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার গাউস মিয়া সৌদিপ্রবাসী। গাউস মিয়ার সঙ্গে দোলার ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই সূত্রে দোলার সঙ্গে গাউস মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত জানুয়ারিতে গাউস মিয়া দেশে ফিরে মিরপুরের একটি বাসায় ওঠেন। তারপর বিভিন্ন সময় দোলার সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। দোলার বিয়ে হয়েছে, সেটি গাউস মিয়া জানতেন না।
আজ সকালে বাসার বাইরে একটি খাবার হোটেলে নাশতা করতে গিয়েছিলেন দোলা ও তার স্বামী পাপ্পু। গাউস মিয়া তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে অনুসরণ করতে থাকেন। দোলা ও পাপ্পুকে একসঙ্গে বাসায় উঠতেও দেখেন তিনি। বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, দোলা আগেই বিয়ে করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসা থেকে দুইটি ছুরি নিয়ে দোলার বাসায় যান গাউস। পরে দোলা ও তার স্বামী পাপ্পুকে কুপিয়ে হত্যা করেন।