গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকা থেকে অপহরণের শিকার শিশু আলিফকে (৪) ঝিনাইদহ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরনকারী চক্রের মূল হোতা তাহমিনাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। একই দিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এন এম নাসির উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তাহমিনা তার স্বামী আল আমিন ও ছেলে কালাম। কালাম শেরপুর সদরের, তাহমিনা ও আল আমিন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে গত ২৩ মে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকা থেকে বোরকা পরিহিতা এক নারী শিশু আলিফকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পরলে দেশজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত ২৩ মে টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডাইরি করেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা কাসেম।
শিশুটিকে উদ্ধার করতে সহয়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী ও অ্যাম্বার অ্যালার্ট ফর বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
পুলিশ জানায়, অ্যাম্বার অ্যালার্ট ফর বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের সহয়তা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ছয় দিনের মাথায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে চক্রের সদস্য কালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে এই চক্রের মূল হোতা তাহমিনা ও তার স্বামী আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অক্ষত অবস্থায় শিশু আলিফকে উদ্ধার করা হয়।
মিষ্টি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করে তাহমিনা। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি বিভিন্ন জেলায় ছদ্মবেশে বাসা ভাড়া নিয়ে শিশু বাচ্চা অপহরণ করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতো।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার সাকিল আহমেদ, টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম, পরিদর্শক তদন্ত আতিকুল ইসলাম, টিভি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ নেওয়াজ প্রমূখ।