খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র ইসিই ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী সাফওয়ান আহমেদ ইফাজের উপর হামলার ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে।
মামলার বাদী সাফওয়ান আহমেদ ইফাজ এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২৭ মে দুপুর আনুমানিক পৌনে চারটার সময় আমি আমার বন্ধু আল সাদ রাজিন দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ফুলবাড়িগেট হতে কুয়েটগামী রাস্তার পাশে গলির মধ্যে মোঃ জাকারিয়ার নির্মানাধীন বাড়ি সংলগ্ন ইটের সলিং রাস্তার উপর দিয়ে যোগীপোল যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন মুখে মাক্স পরিহিত অবস্থায় আমাদের গতিরোধ করে।
আমি তাদেরকে গতিরোধ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্য হতে একজন আমাকে বলে তোরা মোহন, মুজাহিদসহ অনেকের ছবি দিয়ে কুয়েটের সামনে কেন ব্যানার টানিয়েছিস? আমি তাদেরকে বলি এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কে টানিয়েছে বা কেন টানিয়েছে তাও জানিনা। তখন অজ্ঞাতনামা আসামিরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে আমি তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাদের মধ্য হতে অজ্ঞতানামা একজন আসামি তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় কোপ দিতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে ঠেকালে উক্ত কোপ আমার বাম হাতের কব্জিতে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হই।
এ সময় আমি রাস্তার উপর পড়ে গেলে অজ্ঞাতনামা একজন আসামি তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমার বুকের বাম পাশে পোচ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় অন্যান্য অজ্ঞাতনামা আসামিরা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে যার ফলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এ সময় আমার বন্ধু ঠেকাতে গেলে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকেও মারধর করে।
একপর্যায়ে আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। বিষয়টি ২ ও ৩ নং সাক্ষীকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। আমার বাম হাতে কব্জিতে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, আমার ধারণা আমি যেহেতু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমর্থক, সেহেতু কুয়েটের গোপন রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় নিষিদ্ধকৃত আওয়ামীলীগ, তার নিষিদ্ধ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।