ঈদুল ফিতরে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট না হলেও ঈদুল আজহায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। তবে এবার ঈদযাত্রার আগে মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ফলে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মহাসড়কে নেমে আসে আতঙ্ক। এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের মধ্যে এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কোরবানির পশু পরিবহন এবং ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের যানবাহনের চাপে যানজটের শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এই মহাসড়কটি।
পাবনার যাত্রী ফরহাদ বলেন, মহাসড়কে রাতে ডাকাতি হচ্ছে। যারা রাতে বাড়ি ফিরবে তারা আতঙ্কে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই ঈদ যাত্রায় যাতে করে মানুষ কোন দুর্ঘটনার শিকার না হয়। পুলিশ প্রশাসনকে সচেতন থাকতে হবে।
সিরাজগঞ্জের যাত্রী সেলিম রেজা বলেন, রাতে ও দিনে মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। মানুষ যাতে ভালো মতো বাড়ি পৌঁছাতে পারে সে দিকে পুলিশ প্রশাসনের নজর দিতে হবে। ঈদুল ফিতরে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছে। তবে এবার মহাসড়কে যানজট হবে। এবার শহর থেকে মানুষ গ্রামে বেশি যাবে।
টাঙ্গাইল জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন বলেন, সরকারিভাবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সভা করেছে। নির্দিষ্ট গন্তব্য যাওয়ার আগে প্রতিটি বাসেই মোবাইল ফোন দিয়ে সবার ছবি তুলে রেখে সঙ্গে সঙ্গে ছবি ও ভিডিওগুলো পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাতে রাস্তায় কোনো যাত্রী উঠলে তাদের ছবি তুলে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ওই ভিডিও বা ছবিগুলো ডাকাত ধরার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। বাসে যাদের সিসি ক্যামেরা লাগানোর সামর্থ্য আছে তারা সিসি ক্যামেরা লাগাবে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ঈদুল ফিতরের মতো এবারও ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষ যানজট মুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। মহাসড়কে সবসময় মোটরসাইকেল টিম থাকবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যেন দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এলেঙ্গা হাইওয়ে থানা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে। আমি নিজেও প্রতিদিন রাতে টহলে থাকি। মানুষের নিরাপত্তা যাতে থাকে সেজন্য আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। আশা করি পরবর্তী কোনো ঘটনা মহাসড়কে ঘটবে না।