যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব হামলা মূলত ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুগুলোর দিকে চালানো হয়েছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি, তবে এমন ধারাবাহিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও উসকে দিচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান এলাকায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সফল’ হামলা চালিয়েছে। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই ইরানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পাল্টা হামলা শুরু হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে যদি কূটনৈতিকভাবে দ্রুত উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ না নেওয়া হয়।
তেল আবিব ও হাইফায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলজুড়ে বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ্য করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে দেশটি। ইরানের এই হামলার মধ্যে জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। এছাড়া তেল আবিব ও হাইফায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে দুটি দফায় মোট ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। প্রথম দফায় ২২টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। হামলার লক্ষ্যবস্তুও ছিল বেশ বিস্তৃত— সিরিয়ার দখলীকৃত গোলান হাইটস অঞ্চল থেকে শুরু করে আপার গ্যালিলি, আবার উত্তর ও মধ্য উপকূলীয় এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে হামলা চালানো হয়।
এ পর্যন্ত ১০টি ভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি বা বড় আকারের শার্পনেলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফা শহরে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি। তবে ঠিক কোন ধরনের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।