অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, সারাদেশের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা দেশের সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছি। দেশেই যাতে অক্সিজেন তৈরি হয়, তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত দেশের প্রথম 'অক্সিজেন সামিটে' এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
সামিটটি যৌথভাবে আয়োজন করে আইসিডিডিআরবি, দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ, এভরি ব্রেথ কাউন্টস এবং ইউনিটেইড।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, শুধু অক্সিজেন নয়, যেগুলো রাষ্ট্র ও প্রাণকে ঝুঁকিতে ফেলে তা কিভাবে দেশেই তৈরি করা যায় সেখানেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, যেকোনো খাতের ব্যর্থতার পেছনেও স্বাস্থ্য চলে আসে। আমরা ১৮ কোটি মানুষের কাছে আমরা নিরাপদ অক্সিজেন পৌঁছে দিতে তাই, এটি নিশ্চিত হলেই কেবল এই অনুষ্ঠান সার্থক হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ২৯টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট সচল রয়েছে, তবে প্রায় ৭০টির মতো প্ল্যান্ট অকেজো অবস্থায় আছে। এগুলো চালু করতে জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অক্সিজেনের দাম এক এক হাসপাতালে এক একরকম। একে এসেনশিয়াল ড্রাগ হিসেবে ঘোষণা করা হলে সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে শুধু নীতিমালায় নয়, উপজেলা পর্যায় থেকে বিশেষায়িত হাসপাতাল পর্যন্ত অক্সিজেনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডাঃ সায়েদুর রহমান বলেন, নিরাপদ অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে শুধু অক্সিজেন নয়, বরং ডিভাইসের মান ও পুরো সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি দেশেই অ্যান্টিভেনম ও অ্যান্টির্যাবিস উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অক্সিজেন সামিট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী অক্সিজেন গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.মো. নাজমুল হোসেন অংশ নেন।