কিশোগঞ্জের বাজিতপুর-নিকলী, কুলিয়ারচরসহ আশেপাশে হাওর অধ্যুষিত উপজেলা হিসেবে পরিচিতি। এসব উপজেলার নদীর পাড়ের জেলে কৃষক, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি অবহেলিত।
এসব হাওরে প্রায় শত শত গ্রামগুলোর মানুষ বাড়ির উপরে বাড়ি খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে তাদের জীবন কাঁটে। নদী আর জলাভূমির সাথে মানুষের জীবন জড়িয়ে আছে গভীরভাবে। এখানকার মানুষ প্রকৃতির সাথে লড়াই করে জীবিকা অর্জন করে থাকে।
যখন বর্ষাকাল থাকে তখন পানিতে হাওর ভরে যায়, তখন এ ৬টি উপজেলার মানুষের অধিকাংশ জায়গায় ও চলাচলের মাধ্যম হয় নৌকা। আর শুকনো মৌসুমে ধান চাষ ছাড়া তাদের জীবিকা আর কিছুই থাকে না। নদী ও হাওর থেকে মাছ ধরা এবং স্থানীয় বাজারে জেলেরা মাছ বিক্রি করে তাদের জীবন চলে।
আবার, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য অনেকেই শুটকী তৈরি ও নদী পথে মালামাল পরিবহন করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। নদী ও হাওর কেন্দ্রীক জীবন ধারণের জন্য মাছ ধরা, নৌকায় বসে বিভিন্ন ধরনের গান গেয়ে নদীর পাড়ের মানুষেরা যাত্রীদের এপাড় থেকে ওপাড় তাদের সংসার চালাতে হয়। সারাবছরই তাদের কঠিন সময় কাটে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন হাওরের কৃষি ও নদী নির্ভর মানুষের জলরাশি আর প্রকৃতির সংগ্রামে তাদের গল্প ভরা। এমনিভাবে তাদের জীবন যেন একটি অকল্পনীয় জীবন তাদের লালন করতে হয়। কেউ বা মাছ ধরা, আবার কেউ বা নদী পাড়াপাড় করে সংসার চালানো অথবা কৃষি চাষ করে জীবনকে চালাতে গিয়ে ও সংসার জীবনে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে তাদের মাধ্যম।
এ ছয়টি উপজেলার মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার পাটুলী ঘাটকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সরকারের কাছে এলাকাবাসীর দাবি।